শিরোনাম
◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩ ◈ স্প‌্যা‌নিশ ক্যাবরেরাই থাক‌ছেন বাংলা‌দেশ ফুটবল দ‌লের কোচ ◈ সন্ধ‌্যায় নেপালের বিরু‌দ্ধে লড়াই‌য়ে নাম‌ছে বাংলা‌দে‌শের মে‌য়েরা ◈ ঢাকায় হবে এশিয়া কাপের সভা, ভারত অংশ নে‌বে না ◈ এবার যে কারণে বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন ড. ফয়জুল হক

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:২৯ রাত
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০২১, ০৩:২৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আহসান হাবিব: আজকের রাজনীতি

আহসান হাবিব: বাংলাদেশের রাজনীতি এখন দেউলিয়াত্বের শেষ সীমানায়। ডান, বাম, উগ্র, নরম, মধ্যম সকলেই ধর্মের ঘাড়ে পা রেখে ক্ষমতার মসনদ পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। যারা পাঁড় সাম্প্রদায়িক তারা বিরলে বগল বাজাচ্ছে। যারা রাষ্ট্রে ন্যূনতম গণতন্ত্র কায়েম করতে চায়, যারা চায় একটি ক্ষমতা বিকেন্দ্রিকৃত সমাজব্যবস্থা, একটি বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থা, তারা কি করে ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর পো ধরে? যেকোনো ধর্ম যে একটা ফ্যাসিবাদী শক্তি, এটা বোঝার জন্য তো রাষ্ট্রনীতি জানতে হয় না। ধর্মের ইতিহাস দেখলে কিংবা তাদের আজকের যেকোনো তাণ্ডব দেখলেই বোঝা যায়। তারা ক্ষমতায় গেলে কী কী করবে, এটা জানার পর গণতন্ত্র চাহনেওয়ালারা কি করে তাদের তল্পিবাহক হয়? গণতন্ত্র কি ধর্মের সঙ্গে যায়? একদলকে দেখছি ভাসানীর চেতনায় রাজনীতিতে আসার জন্য রাস্তায় দাঁড়িয়ে আহ্বান জানাচ্ছে। তাদের আবার বাম বলে লোকে চিনেও। তো ভাসানীর চেতনা কি বস্তু? সে তো পরিত্যক্ত হয়েছে স্বাধীনতার আগেই। যদি তা না হতো তাহলে তার নেতৃত্বেই মানুষ মুক্তিযুদ্ধ করতো? করেনি, কারণ তার আদর্শ গোঁজামিলে ভরা। মাও তার প্রেসিডেন্ট, আইউব খান তার ‘ডোন্ট ডিস্টার্ব আইউব’। তার আদর্শের মিলিত যোগফল ‘কাঠালের আমসত্ত্ব’। সেই চেতনা লইয়া এখন বাংলাদেশের মানুষ কি করিবে। হ্যাঁ, একটা জিনিস কাজে লাগবে ভারত বিদ্বেষ। এটা দিয়েই কেবল বুঝতে পারি ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর সঙ্গে তাদের আঁতাতের কারণখানি।

রসূনের কোয়ার... যে একই জায়গায়, এটার সত্যতা এখানে পাওয়া যায় বটে। স্বাধীন বাংলাদেশে অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াই হওয়া উচিত ছিলো পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে। এই লড়াইয়ে ধনিক শ্রেণি ছাড়াও তাদের কেনা গোলাম এসব সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধেও লড়াই জারি রাখতে হতো। এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা বাম গণতান্ত্রিক শক্তির, হয়েছে উল্টা, পুঁজিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই শিকেয় তুলে তারা এখন সাম্প্রদায়িক শক্তির লেজুড়ে পরিণত হয়ে মধ্যযুগ ফিরিয়ে আনতে শক্তিক্ষয় করে চলেছে। তারা ভাবছে ক্ষমতা হাতে পেলেই তাদের কাক্সিক্ষত গণতন্ত্র কায়েম করে ফেলবে।

বোকার হদ্দ আর কাকে বলে। তবে একটা জিনিস বুঝতে পারছি উৎপাদন ব্যবস্থায় যে শ্রেণি তৈরি হয়েছে একদিকে বুর্জোয়া, অন্যদিকে শ্রমিক শ্রেণি- এই ধর্মান্ধ গোষ্ঠী হচ্ছে অনুৎপাদনশীল লুমপেন, প্রায় চেয়ে ভিক্ষা করে এরা জীবিকা চালায়। এখনো এই অংশটিকে উৎপাদন সম্পর্কে আনা যায়নি, যায়নি বলেই তারা ঘোট পাকাতে এখনো পারছে। কিন্তু তাদের সঙ্গে এই তথাকথিত বাম, ভাসানীর, গণতন্ত্র কায়েম করার খায়েশ ওয়ালাদের কি মিল? খুব বড় জায়গায় মিল, তারা আসলে বাম নয়, পাতি বাম বা উগ্র বাম, এদের অর্থনৈতিক আদর্শ ক্ষুদের দিকে। ফলে একদিকে লুম্পেন এবং এই ক্ষুদেদের খুব মিল। ফলে তারা একে অপরের রাজনৈতিক বন্ধু। কিন্তু এই দিয়ে কি গণতন্ত্র কায়েম হবে? বড়জোর মোল্লাতন্ত্র কায়েম হতে পারে, তখন অবশ্য তারা তাদের আরো খাটি তল্পীবাহকে পরিণত হবে। লেখক : উপন্যাসিক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়