শরীফা খাতুন : [২] জেলার কালিয়া উপজেলার বনি মোল্লা (৩০) হত্যা মামলায় ২৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।
[৩] বুধবার দুপুরে খুলনা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ নজরুল ইসলাম হাওলাদার এ রায় ঘোষণা করেন। এ মামলায় চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আহাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
[৪] যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মফিজ বিশ্বাস (৪০), আলম শেখ (৩৯), আঃ সালাম শেখ (৪২), শরিফুল খাঁ (৪৪), মামুন খান (৩৯), আশিক শিকদার (৩৩), সোহেল শিকদার (২৭), সবুজ শেখ (২২), সবুজ মোল্যা (৩২),খালিদ মোল্যা (২৬),খোকন মোল্যা (৫৫), কিবরিয়া মোল্যা (৫০), সাদি শেখ (১৮), আহাদুল শেখ (২৩), ইমদাদ শেখ (২৭), শরিফুল মোল্যা (৫৩), বাপ্পি শেখ (পলাতক) (৩৪), সুফিয়ান খাঁ (৪৩), আশরাফুল খাঁ (৩৭),আনোয়ার মোল্যা (৪৫), রুনজু মোল্যা (৩৮), দুলাল খাঁ (৫০), শিপলু খান ওরফে পিকুল খাঁন (২৩), উজ্জ্বল তালুকদার (৩৭), আশিক মোল্যা (২৩), মোঃ আজাদ শেখ (৩৭)। সর্ব থানা-কালিয়া, জেলা-নড়াইল।
[৫] খালাস প্রাপ্তরা হলেন, বাবু মোল্যা (২৭), রকিবুল মোল্যা (৩৫), মোঃ মিলন শেখ (৩৮), ও সেলিম মোল্যা (৫২)।
[৬] আদালত সূত্রে জানা গেছে, গ্রাম্য শত্রুতা ও মামলা মোকাদ্দমার কারনে খুন করা হয় কালিয়া উপজেলার পারবিঞ্চুপুর গ্রামের মোঃ হাসিম মোল্লার ছেলে বনি মোল্লাকে। তিনি পারিবারিক জায়গা-জমির ওপর ঘেরের দেখাশুনা করতেন।
[৭] ২০১৯ সালের ১১ মে বনি বাড়ির পাশের একটি ঘেরে অবস্থান করছিলেন। সকাল আটটার দিকে তার পূর্ব পরিচিত সন্ত্রাসীরা দেশি তৈরী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। প্রাণ বাঁচাতে তিনি দৌড় দিয়ে প্রতিবেশী ছাকু কাজীর বাড়িতে আশ্রায় নেন। সন্ত্রাসীরা ওই বাড়ি থেকে তাকে বের করে এলোপাতড়ি কুপিয়ে জখম করে। ওই ঘটনার পর বনি মোল্লার বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
[৮] ওই ঘটনার দুইদিন পরে নিহতের পিতা বাদী হয়ে ৩২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত চলাকালে এ মামলায় আরও দু’জনের নাম অন্তর্ভূক্ত করা হয় বলে পুলিশের দাবি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ ইকরাম হোসেন ২০২০ সালের ২৫ জুলাই ৩০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ