ফজলুল বারী: হেফাজত নিয়ে সবার হায় হায় পোস্ট দেখে বিরক্ত। যে তান্ডব হেফাজত চালিয়েছে সেখান থেকে দেশে বিদেশে ইসলাম ধর্মকে কীভাবে হেফাজত করবেন সেটি দেশের ইসলামী চিন্তাবিদদের ভেবে বের করতে হবে। কারণ নানা ধর্মের অশান্তি, দুর্বলতার প্রতিকার হিসেবে নবীর ইসলাম এসেছিল। কিন্তু এই হেফাজত যেটি দেখিয়েছে সেটি নবীর ইসলাম নয়। ভয়ের নাম ইসলাম নয়। এই তান্ডব যদি ইসলাম হয় সেটি কেউ মানবে না। কোনো ভদ্রলোক এসব প্রতিষ্ঠানে নিজেদের ছেলেমেয়েদের পড়তে দেবে না। এগুলোয় অর্থায়ন করবে না। ৫০ বছর আগে আরেকটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। হেফাজত যেটা দেখিয়েছে এটাই পাকিস্তান। বর্বর দেশটায় এসবই হয়। একাত্তরে এই অপশক্তিকে পরাজিত করে যুদ্ধ জয়ের পর এই লোকগুলোই সেদিন পালিয়ে গিয়েছিল।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার পর জেনারেলদের রাজনৈতিক লোভ থেকে তাদের আবার রাজনীতিতে পুনর্বাসন হয়। সে কারণে হেফাজতের চাইতে বিএনপি জাপা জাতীয় রাজনৈতিক ক্লাবই গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল সমস্যা। তারা তখনও হেফাজত জাতীয় ধর্মান্ধদের পক্ষে ছিল, এখনও পক্ষে। বিএনপি জাতীয়দের শয়তানি সামাল দিতে আওয়ামী লীগকেও তাদেরকে সমঝে চলতে হয়। যদিও তারা কোনো দিন আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক নয়।
এই তান্ডবে আওয়ামী লীগের লাভ যেটা হয়েছে তা হলো তাদের বিরুদ্ধে দেশজুড়েই ছি! ছি! রব উঠেছে। ছন্নছাড়া বিএনপির মনে হয়েছে তারাই শক্তি। এই দলটার এখন আর কোনো নিজস্বতা নেই। যা পায় সেটা ধরে ঝুলে পড়তে চায়। এভাবে অতঃপর হেফাজতকে ধরে ঝুলে পড়ার মাশুল তাদের পাওনা হয়ে গেলো। বিএনপি যে তাদের আবার পক্ষ নিয়েছে এতে ভারত তো বটে পশ্চিমা কূটনীতিকদের অনাস্থাও বিএনপির ব্যাপারে বাড়বে। যেটা এতোদিন জামায়াতকে ঘাড়ে রেখে মাশুল গুনেছে বিএনপি। এখন তাদের ঘাড় সওয়ার নতুন আপদের নাম হবে হেফাজত। এই তালেবানি চেহারার লোকজনের কেয়ারটেকার বিএনপি বাংলাদেশের ক্ষমতায় বসুক এটা তাদের চিহ্নিত মুরব্বিরা আর চাইবে না। কারণ দেশে দেশে এমনিতেই তারা এ জাতীয়দের নিয়ে অনেক পেরেশানিতে আছে। ফেসবুক থেকে, মামুন
আপনার মতামত লিখুন :