গোলাম সারোয়ার: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর উপর নির্মিত সৈয়দ নজরুল ইসলাম সেতুর টোল প্লাজায় হেফাজতের হরতাল চলাকালে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত পুলিশ ফাঁড়ি ও উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাসের আহমেদের বাড়িসহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলি আজাদ।
সোমবার বিকেলে হরতালে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা পরিদর্শনকালে আশুগঞ্জ-সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় শিউলির আজাদ এমপি হরতালে তাণ্ডবের ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানান।
তিনি বলেন, যারা জাতীয় সম্পদ নষ্ট করে পুড়িয়ে দেয় তারা দেশের শত্রু, মানবতার শত্রু। তিনি আরো বলেন, আমরা মুসলিম, কোন ধার্মিক মুসলিম অহেতুক ধ্বংসযজ্ঞ চালাতে পারেনা।
ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি পরিদর্শনকালে উপজেলা আওয়ামীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাসের আহমেদ এমপিকে জানান, তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। তার বাড়িতে দাঁড়ি-টুপি ওয়ালা কোন লোক আক্রমণ করেনি। তিনি বলেন, দুবৃত্তরা আমার বাড়িতে আক্রমণ করে ভাংচুর ও তান্ডব চালিয়েছে। কিন্তু আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বার বার অবহিত করলেও তারা আমাদের কোন সাহায্য করেনি। তখন আমরা ছিলাম অসহায়।
উল্লেখ্য যে, রেববার সকালে আশুগঞ্জে হেফাজতের লোকজন একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করলে মিছিলটি থেকে আশুগঞ্জ সৈয়দ নজরুল ইসলাম টোলপ্লাজায় হামলা চালানো হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা টোলপ্লাজা ভাঙচুর করে। পরে তারা টোলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ ফাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া মহাসড়কের ওপর নির্মিত বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত আওয়ামীলীগ নেতাদের বেশ কয়েকটি তোরণ ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়। এসময় স্থানীয় আওয়ামীলীগের সাথে হরতাল সমর্থকদের ৪ ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। হরতাল সমর্থকরা উপজেলা আওয়ামী লীগ এর আহ্বায়ক হাজি সফিউল্লাহ মিয়া ও যুগ্ম আহ্বায়ক আবু নাছের আহমেদ এর বাড়িতেও হামলা চালিয়ে ভাংচুর করে।
আপনার মতামত লিখুন :