নূর মোহাম্মদ: [২] কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বলেছেন, বাংলার মানুষ শ্লোগান তুলছে দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা। কেন এই শ্লোগান আজ জনপ্রিয় হচ্ছে তা ভেবে দেখতে হবে। স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার প্রতিষ্ঠা- এটা শুধু এবি পার্টির স্লোগান থাকবে না। এটা ক্রমান্বয়ে সারা বাংলার মানুষের স্লোগানে পরিণত হবে।
[৩] সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে 'কণ্ঠরোধ, হত্যা ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ ও সংহতি সভায়' বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন এবি পার্টির আহ্বায়ক এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। সভা পরিচালনা করেন দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জু।
[৪] অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ ও রাজনীতিবিদ ড. রেজা কিবরিয়া বলেন, হিটলার, গাদ্দাফীর পতনে যে সময় লেগেছে এই সরকারের পতন ঘটাতে তেমন সময়ও লাগবে না। কারণ এই সরকার জনবিচ্ছিন্ন। হেফাজতের সঙ্গে আমার রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকতে পারে, কিন্তু তাদের অধিকার ও বাক স্বাধীনতার জন্য আমি সংগ্রাম করতে প্রস্তুত। এই জালেম সরকারের হাতে রক্ত, তাদের হাত খুনীর হাত। তাদের বিরুদ্ধে যে বা যারাই লড়বে, মানুষ তাদের পিছনেই যাবে।
[৫] প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, প্রতিবাদ করা আমাদের অধিকার এটা কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। ভারতের জনগণের সঙ্গে আমাদের কোন শত্রুতা নেই। আমরা সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই, কিন্তু কারও আধিপত্য মেনে নেব না। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে বাংলার নেলসন মেন্ডেলা আখ্যায়িত করেন তিনি।
[৬] এবি পার্টির যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. আব্দুল ওহাব মিনার বলেন, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে ঘুমন্ত মানুষের ওপর গুলি চালিয়েছিল। আর ভোটহীন ফ্যাসিবাদী সরকারের পুলিশ বাহিনী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে স্বাধীন দেশের নিরীহ সজাগ জনগণের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছে। তারা মানুষ মেরে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করেছে। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু
আপনার মতামত লিখুন :