শিরোনাম
◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা ◈ ভারতের নেপাল নীতিতে 'রিসেট বাটন' চাপলেন মোদি, শিক্ষা বাংলাদেশের কাছ থেকে ◈ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে বিএনপি

প্রকাশিত : ২৯ মার্চ, ২০২১, ০৫:০৩ সকাল
আপডেট : ২৯ মার্চ, ২০২১, ০৫:০৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শারফিন শাহ: গোটা ভারত কিংবা বাংলাদেশে ধর্ম যেন রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা!

শারফিন শাহ: এই উপমহাদেশ ছিলো বিশ্ব সভ্যতার আদিভূমি। জৈন, বৌদ্ধ, হিন্দু, মুসলমান সবার তীর্থকেন্দ্র। মুসলমানরা ভারতে আগন্তুক। মধ্যপ্রাচ্যের সংস্কৃতি, তাই ভারতীয় মুসলমানের জন্য অপরিহার্য ছিলো না কখনোই। এদেশে মুসলমানরা মূলত কিছু সংখ্যক বৌদ্ধ, বিপুলসংখ্যক হিন্দু থেকে ধর্মান্তরিত। এজন্যই নৃতাত্ত্বিক অবয়বে হিন্দু-মুসলমান একই গড়নের। ভারতের সংস্কৃতি এজন্যই সমন্বয়বাদী। এখানে গুরু নানক, কবির, দাদু, বুদ্ধ, লালনের মতো সমন্বয়বাদী সাধকরা চিরকাল ধর্মীয় কুসংস্কার, বিদ্বেষের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছে। বাংলার নগরজীবনে এই মহামানবদের আদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছেন বিদ্যাসাগর, রামমোহন রায়, রবীন্দ্রনাথ, মীর মশাররফ হোসেন, ক্ষিতিমোহন সেন, দীনেশচন্দ্র সেন, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, জসীমউদ্দীন প্রমুখ।

ভারতীয় সংস্কৃতির মরমী দার্শনিক কবীর মুসলমান ঘরে জন্মেও তার কোনো ধর্ম ছিলো না। তিনি সকল ধর্মের ঊর্ধ্বে ওঠে মানুষের জয়গান গেয়েছেন। রবীন্দ্রনাথ কবীরের প্রতি এতোটাই মুগ্ধ ছিলেন যে, তার ১০০টি গান ইংরেজিতে অনুবাদ করেছিলেন। আর লালন তো আরেক বিস্ময়! সর্পদেবী মনসার মাহাত্ম্যের ওপর রচিত মনসামঙ্গল কাব্যের জন্ম এই পূর্ববঙ্গের জলাভূমিতে, পশ্চিমবঙ্গের রুক্ষ মাটিতে জন্ম বৈষ্ণব পদাবলীর। নদীমাতৃক পূর্ববঙ্গের ভাটিয়ালী গান, উত্তরবঙ্গের ভাওয়াইয়া গান আর পশ্চিমাঞ্চলে কীর্তন, বাউলের প্রভাব সুসংহত গোটা বঙ্গভূমিতে। এই ভারতই আদি ভারত, এই বাংলাই আদি বাংলা।

কিন্তু রাজনৈতিক আক্রমণ আর সভ্যদের একের পর এক নিষ্ঠুর আঘাতে ভারত ভাগ হলো, বাংলা ভাগ হলো, বাংলাদেশ পাকিস্তানের ধর্মীয় শৃঙ্খল থেকে মুক্ত হলো। মুক্ত হলেও ধর্মীয় খোলস ভাঙতে পারলো না। ধীরে ধীরে সবকিছু চলে গেলো ধর্মীয় বাস্তবতায়। সাধারণ মানুষের মগজে ধর্মীয় আচার এমনভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো যে, তার ওপর ভর করে শুরু হলো সংঘাত। ক্ষমতায় যাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে আজও ধর্ম বড় রকমের সিঁড়ি। গোটা ভারতে কিংবা বাংলাদেশে ধর্ম যেন রাজনৈতিক প্রোপাগান্ডা! অথচ এই ভারত কিংবা বাংলাদেশের মাটি হিন্দুরও নয়, মুসলমানেরও নয়। এই ভূমি মানবতাবাদী মানুষের। রাজনীতিই সবকিছু গ্রাস করে নিয়েছে। এখন তাকিয়ে দেখা ছাড়া উপায় নেই। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়