সমীরণ রায়: [২] আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কোনো দলের নেতা হিসেবে বাংলাদেশে আসেননি। তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমাদের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে শুভেচ্ছা জানাতে এসেছেন।
[৩] তিনি বলেন, নরেন্দ্র মোদির আগমনের সঙ্গে রেলস্টেশন জ্বালিয়ে দেওয়ার কী সম্পর্ক? ভূমি অফিস জ্বালিয়ে দেওয়া হলো কেন? এরা সবাই দুষ্কৃতিকারী, শান্তি ও সম্প্রীতির শত্রু। এদের যদি খোঁজ খবর নিলে দেখা যাবে, এদের বাবা-দাদারা সব রাজাকার ছিল ও মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছিল। তাদের বাবা-দাদারা নারী নির্যাতন ও গণহত্যার সঙ্গে যুক্ত ছিল। সরকারের নমনীয়তাকে দুর্বল ভাববেন না। আমরা জানি আপনারা কারা? বায়তুল মোকাররমে, পবিত্র কুরআনে আগুন জ্বালিয়েছিলেন। পশু-পাখিও আপনাদের হাতে রেহাই পায়নি।
[৪] সম্প্রচার ও তথ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সমগ্র বাঙালি জাতির মুক্তির অনুপ্রেরণা ছিলেন। শুধু তাই নয়, সারা পৃথিবীর মানুষের জন্যও অনুপ্রেরণা ছিলেন। সেজন্য সারা পৃথিবীতে তাঁকে নিয়ে গবেষণা হচ্ছে এবং হবে। তিনি হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালিদের জাগিয়ে তুলেছিলেন। তিনি ঘুমন্ত বাঙালিকে অস্ত্র তুলে ধরতে শিখিয়েছিলেন। বাঙালিরা শেখ মুজিবুর রহমানের কথা শুনে জীবন হাতে নিয়ে একাত্তর সালে যুদ্ধ করেছিল।
[৫] ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ পৃথিবীতে বিরল। বাঙালিদের জন্য কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র ছিলো না। প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি। কে হিন্দু, কে বৌদ্ধ, কে খ্রিস্টান সেটা আমাদের দ্বিতীয় পরিচয়। পাকিস্তান রাষ্ট্র নির্মাণের পর যখন আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি, অধিকারের ওপর আঘাত আসলো, তখন বঙ্গবন্ধু আলাদা রাষ্ট্র সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিলেন। সবার মিলিত রক্তের স্রোতের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ হয়েছে।
[৭] শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু ফর ইউ’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।