স্পোর্টস ডেস্ক: ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের মুখোমুখি বাংলাদেশ। শুক্রবার (২৬ মার্চ) বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় খেলাটি শুরু হয়েছে। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলের প্রথম সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩১৯ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে নিউ জিল্যান্ড।
স্কোর: নিউ জিল্যান্ড ৫০ ওভারে ৩১৮/৬ (ড্যারিল মিচেল ১০০*, মিচেল স্যান্টনার ৩*)
আগের দুই ম্যাচের ভেন্যু ডানেডিন ও ক্রাইস্টচার্চ থেকে ওয়েলিংটনে বাতাসের বেগ তুলনামূলক বেশি। এজন্য দলে একটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের পরিবর্তে জায়গা পান পেসার রুবেল হোসেন। আগের দুই ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিলেও সিরিজ জয় নিশ্চিত হওয়ায় এ ম্যাচে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কিউই দলপতি টম লাথাম।
দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান মার্টিন গাপটিল ও হেনরি নিকোলস। উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দেন তারা। এদিনও বাংলাদেশ দলের আক্ষেপ বাড়ালো ক্যাচ মিস ও বাজে ফিল্ডিং। উইকেটের পেছনে নিকলসের সহজ ক্যাচ হাতছাড়া করেন মুশফিকুর রহিম। তবে তাসকিনকে বেশিক্ষণ আক্ষেপে পুড়তে দেননি লিটন দাস। নিকলসের দেওয়া ক্যাচ মুঠোবন্দি করে তাকে সাজঘরে ফেরান লিটন। নিকোলস ১৮ রানে আউট হলে ৪৪ রানে ভাঙে ওপেনিং জুটি।
এরপর রাজত্ব দেখান বাংলাদেশি পেসাররা। ২৬ রানে থাকা গাপটিলকে তুলে নেন রুবেল হোসেন। সুবিধা করতে পারেননি চোট কাটিয়ে ফেরা রস টেলর, ৭ রান করে রুবেলের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন তিনি। চতুর্থ উইকেটে কনওয়ের সঙ্গে জুটিটা জমিয়ে তুলেছিলেন ল্যাথাম, ১৮ রানে থাকা কিউই দলপতিকে আউট করে ৬৩ রানের পার্টনারশিপ ভাঙেন ষষ্ঠ বোলার হিসেবে খেলতে নামা সৌম্য সরকার।
এরপরের গল্পটা এই সিরিজে অভিষেক হওয়া দুই ব্যাটসম্যান ডেভন কনওয়ে ও ড্যারিল মিচেলের। টাইগার বোলারদের শাসন করতে থাকেন দুজন। পঞ্চম উইকেটে গড়েন ১৫৯ রানের জুটি। এরই এক ফাঁকে ওয়ানডেতে নিজের অভিষেক সেঞ্চুরি তুলে নেন কনওয়ে, পরে মুস্তাফিজের বলে আউট হন ১২৬ রান করে। ১১০ বলের ইনিংসটি সাজান ১৭টি চারের সাহায্যে।
কনওয়ে আউট হলেও আগে ব্যাট করে ২১৭ গড় রানের মাঠে তিনশ রানের কোটা পার করতে বেগ পেতে হয়নি স্বাগতিকদের। বেসিন রিজার্ভে আগের দলীয় সর্বোচ্চ স্কোর ছাড়িয়ে এ ম্যাচে নতুন রেকর্ড করে নিউজিল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১৮ রানে থামে তারা। যেখানে শেষ ৫ ওভারে ১৩ গড়ে ৬৫ রান তোলে স্বাগতিকরা।
ইনিংস শেষের আগে রোমাঞ্চ উপহার দেন মিচেল। অনবদ্য ব্যাট করতে থাকা এ ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরির জন্য ইনিংসের শেষ বলে প্রয়োজন পড়ে ২ রান, মুস্তাফিজের করা বলটি ডিপ মিড উইকেটে ঠেলে দেন তিনি। তবে শঙ্কা তৈরি হয় ২ রান পাওয়া নিয়ে। কিন্তু বাধা হয়ে দাড়ালেন না বাংলাদেশি ফিল্ডাররা। সৌম্যর আলগা থ্রো উইকেটে লাগাতে পারেননি মুশফিক। ফলে ৯২ বলে সেঞ্চুরি তুলে মাঠ ছাড়েন মিচেল। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে ৩ উইকেট পান রুবেল হোসেন। - ঢাকা পোস্ট