সোহেল রহমান: [২] এর মধ্যে কারখানার ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে ৬৪ শতাংশ কর্মীই বিদেশি। [৩] অন্যান্যের মধ্যে টেকনিক্যাল অপারেশনে ১৬ শতাংশ, কাটিং ও ডিজাইনার পদে ৪ শতাংশ, মার্চেন্ডাইজিং-এ ৮ শতাংশ এবং অন্যান্য পদে ৮ শতাংশ বিদেশি কর্মী কাজ করছে।
[৪] বেসরকারি সংস্থা ‘এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট (এসিডি)-এর এক জরিপে এমন তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। শনিবার এক ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ‘এ সার্ভে রিপোর্ট অন দ্য গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। প্রতিবেদন উপস্থাপনকালে এসিডি’র ড. একেএম এনামুল হক জানান, এক হাজারের বেশি শ্রমিকের ওপর জরিপ চালিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
[৫] প্রতিবেদনে বলা হয়, গত পাঁচ বছরে তৈরি পোশাক খাতে পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা বাড়লেও নারী শ্রমিকের সংখ্যা কমেছে। গত ২০১৫ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশের পোশাক খাতে বছরে শ্রমিক সংখ্যা বেড়েছে ১ দশমিক ০৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ শ্রমিকের সংখ্যা বেড়েছে ৪ শতাংশ। অন্য দিকে নারী শ্রমিক কমেছে দশমিক ৭ শতাংশ। তথ্যমতে, ২০১৫ সালে পোশাক খাতে নারী শ্রমিকের সংখ্যা ছিল ২৫ লাখ ৯১ হাজার। গত বছর (২০২০ সাল) এ সংখ্যা ২৪ লাখ ৯৮ হাজারে নেমে এসেছে। অর্থাৎ পাঁচ বছরে পোশাক খাতে নারী শ্রমিক কমেছে ৯৩ হাজার।
[৬] প্রতিবেদনে বলা হয়, পুরুষ শ্রমিকদের মধ্যে ২৭ দশমিক ৯ শতাংশ এসএসসি কিংবা এইএচসি উত্তীর্ণ এবং ব্যাচেলর ডিগ্রিধারী হচ্ছেন ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে নারী শ্রমিকদের মধ্যে এই হার যথাক্রমে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ এবং ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
[৭] চল্লিশ শতাংশ পোশাক শ্রমিক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। [৮] অন্যান্যের মধ্যে পোশাক খাতের ৭৪ শতাংশ শ্রমিকই বিবাহিত, ২৫ শতাংশ অবিবাহিত এবং ১ শতাংশ বিবাহের পরও আলাদা থাকেন।