তপু সরকার হারুন: ১ মাসে কোভিড-১৯ এর টিকা নিয়েছেন ১৩ হাজার ১১৯ জন। ৬ মার্চ শনিবার সন্ধ্যায় শেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে ওই তথ্য পাওয়া গেছে।
উপজেলা পর্যায়ে টিকা গ্রহণের হারে শেরপুর সদর শীর্ষে ও ঝিনাইগাতী সবনিম্ন পর্যায়ে রয়েছে। অন্যদিকে জেলায় এ পর্যন্ত করোনার টিকা পাওয়া গেছে ৩৬ হাজার ডোজ।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশের ন্যায় শেরপুর জেলাতেও কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন এর কার্যক্রম শুরু হয়। আর প্রাথমিক পর্যায়ে জেলায় ৪০ হাজার ডোজের চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ পাওয়া যায় ৩৬ হাজার ডোজ টিকা।
কিন্তু গত এক মাসে শনিবার বিকেল পর্যন্ত জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব সহ জেলায় মোট টিকা প্রদান বা গ্রহণকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ১১৯ জন।
টিকা গ্রহণকারী মোট পুরুষ সংখ্যা ৮ হাজার ১১৫ জন। আর টিকা গ্রহণকারী মহিলার সংখ্যা ৫ হাজার ৪ জন। উপজেলাওয়ারী যার পরিসংখ্যান বা হিসাব হচ্ছে শেরপুর সদর উপজেলায় ৭ হাজার ১০৬ জন, নালিতাবাড়ীতে ১ হাজার ৯৪৭, নকলায় ১ হাজার ৬৯১, শ্রীবরদীতে ১ হাজার ৪৪২ ও ঝিনাইগাতীতে ৯৩৩ জন টিকা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে, জেলায় সদরে ৮টি ভ্যাকসিন টিম ও ৪টি উপজেলায় ২টি করে ভ্যাকসিন টিম কাজ করছে। এজন্য ৭২ জন স্বেচ্ছাসেবক, ৩৬ জন নার্স টিকাদানে অংশ নিচ্ছেন। সুরক্ষা অ্যাপসে নিবন্ধন করে ভ্যাকসিন নিতে হচ্ছে। প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন নিয়েছেন চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ।
এছাড়া ৪০ উর্ধ্ব বয়সী যেকোন ব্যক্তি নিবন্ধন করে ভ্যাকসিন নিতে পারছেন। যারা বাইরে নিবন্ধন করতে পারছেন না, তাদের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের টিকাকেন্দ্রের সামনে নিবন্ধন বুথ খোলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ একেএম আনওয়ারুর রউফ মিডিয়া কর্মীদের বলেন,শেরপুর জেলায় চাহিদা মোতাবেক করোনার টিকা প্রদানের জন্য স্বাস্থ্য বিভাগের তরফ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।
এজন্য জনসচেতনতা বাড়াতে স্বাস্থ্যকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে রেজিস্ট্রেশন সহায়তা প্রদানসহ কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে তৎপরতা বাড়াতে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সম্পাদনা: আতাউর অপু