শিরোনাম
◈ ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে একটি যৌক্তিক জায়গায় পৌঁছাতে চায় কমিশন :  অধ্যাপক আলী রীয়াজ  ◈ বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতা বাড়ছে: শিক্ষার্থী, চিকিৎসক ও ভ্রমণকারীদের ভোগান্তি চরমে! ◈ পাকিস্তানি অভিনেত্রী হুমাইরার ময়নাতদন্তে ভয়ঙ্কর সব তথ্য ◈ অর্থের বিনিময়ে ৬ বছরের শিশুকে বিয়ে: তালেবান প্রশাসনের হস্তক্ষেপে আপাতত রক্ষা! ◈ আবারও মে‌সির জোড়া গোলে ইন্টার মায়ামির জয় ◈ এখন থেকে আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নাম থাকবে না: জ্বালানি উপদেষ্টা ◈ ‘তুমি কেন ফুয়েল কেটে দিলে?’ ভারতীয় বিমান বিধ্বস্তের আগে পাইলটদের শেষ ককপিট ভয়েস রেকর্ডিং ◈ দক্ষিণ কোরিয়া প্রবাসীদের জন্য সুখবর: মৃত্যু হলে লাশ দেশে পাঠাবে সরকার, ক্ষতিপূরণ মিলবে বীমার আওতায় (ভিডিও) ◈ বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হতে যাচ্ছে ভারত: পিউ রিসার্চ ◈ বেপরোয়া বিএনপির অভ্যন্তরীণ সংঘাতে ছয় মাসে নিহত ৪৩

প্রকাশিত : ০৬ মার্চ, ২০২১, ১১:২৭ দুপুর
আপডেট : ০৬ মার্চ, ২০২১, ১১:২৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ড. সেলিম জাহান: স্বাধীনতার মাস মার্চ : উত্তোলিত সেই পতাকা

ড. সেলিম জাহান: দাঁড়িয়েছিলাম একটু পেছনেই - বটগাছটি ঘেঁসে। কিন্তু তাতে কোন অসুবিধেই হচ্ছিল না সব কিছু দেখতে বা শুনতে। কলাভবনের সামনের সারা জায়গা ছেয়ে গেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দ্বারা। অন্য মানুষ আছেন সেখানে। ডানে তাকিয়ে দেখি মানুষের স্রোত ছাড়িয়ে গেছে রোকেয়া হলের মোড়। বাঁয়ে জনতার ঢল নীলক্ষেত অবধি। সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি, কলাভনের বাঁদিকের প্রবেশপথের ওপরের যে গম্বুজ, সেখানে সব ছাত্র-নেতারা। মাইকে জ্বালাময়সে গম্বুজের নীচেই বাঁদিক তখন ছিল কলা অনুষদের ডীনের দপ্তর। ১৯৭১ সনের মার্চের ২ তারিখ। গতকালই জাতীয় পরিষদের অধিবেশন ইয়াহিয়া স্হগিত ঘোষণা করার পরে সারা বাংলাদেশ প্রতিবাদে ফেটে পড়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষুব্ধ ছাত্ররা জমায়েত হয়েছে কলাভবনের সামনে। ক্ষোভে জ্বলছে সবার মুখ, মুহুর্মুহু গর্জন উঠছে ‘জয় বাংলা’, শ্লোগানে শ্লোগানে ফেটে পড়ছে সারা প্রাঙ্গন, উত্তোলিত প্রতিবাদী হাত চারপাশে। আমি যখন চারপাশে তাকিয়ে এ সব দেখছি, তখন আমার পাশে দাঁড়ানো সতীর্থ বন্ধু বাবলু আমিনের চোখ চারতলা কলাভবনের ছাদের ওপরে। অসংখ্য শিক্ষার্থী সেখানে, সেই সঙ্গে কলাভবনের সব ক’টি তলার সামনের দিকের বারান্দায় গিজ্ গিজ্ করছে কালো কালো মাথা।

বিক্ষুব্ধ মুখ সর্বত্র। বাবলুর তাকানো দেখে তার অভিপ্রায় বুঝতে আমার আর বাকী থাকে না। তার ইচ্ছে ওই ছাদের ওপরে ওঠার। ‘ওটা ভেবে লাভ নেই। এই জনসমুদ্র ঠেলে তুই যেতে পারবি ওখানে’? স্মিত হাস্যে আমি বলি। ধরা পড়ে বাবলু লাজুক হাসে। এতো বছর পরেও ওর ওই লাজুক হাসিটি আমার মনে আছে। বাবলু আর আমাদের মাঝে নেই। মুক্তিযোদ্ধা লেফট্যানেন্ট বাবলু আমিন ফিরে আসেনি। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি আসম আবদুর রব বক্তৃতা করছিলেন। হঠাৎ একটা শোরগোল উঠলো চারদিকে। সবার দৃষ্টি রোকেয়া হলের সামনের পথের দিকে। দেখা গেলো, একটি বাঁশের মাথায় একটি পতাকা বেঁধে রোকেয়া হলের দিক থেকে মঞ্চস্থলের দিকে একটি এগিয়ে আসছে। মিছিলের সেই পতাকা দেওয়া হল আসম আবদুর রবের হাতে। রব তখন সেই পতাকাটি তুলে ধরেন সবুজ-লালের পটভূমিতে সোনালী মানচিত্র বাংলাদেশের। সে দৃশ্য দেখে উত্তাল আবেগে ফেটে পড়ছিলাম আমরা সবাই। সবার কণ্ঠে ধ্বণিত হচ্ছিল ‘ বীর বাঙ্গালি অস্ত্র ধরে, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’। চারদিক থেকে শুধু ভেসে আসছিল সমুদ্রের তরঙ্গের মতো, ‘জয় বাংলা’, ‘জয় বাংলা’। আমার পরিস্কার মনে আছে, উত্তোলিত সেই পতাকার বাঁশটিকে এক পর্যায়ে আসম আবদুর রব জোরে জোরে দোলাচ্ছিলেন। আর তখনি সেই মুহূর্তে উত্তোলিত সেই পতাকা সারা আকাশ জুড়ে আন্দোলিত হচ্ছিল ‘আমাদের প্রানের পতাকা’ হয়ে। চিত্রকৃতজ্ঞতা : অনামা এক চিত্রগ্রাহক। সকৃতজ্ঞ ধন্যবাদ তাকে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়