শরীফ শাওন: [২] নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) উপাচার্য হিসেবে যোগদানের পর থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত ক্যাম্পাসে অনুপস্থিতির এ তথ্য জানায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বৃহৎ সংগঠন ‘অধিকার সুরক্ষা পরিষদ’।
[৩] শুক্রবার পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নিজের অনিয়ম দুর্নিতি ঢাকতে তিনি দম্ভোক্তি করে রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের তদন্ত দলকে জড়িয়ে অসত্য বক্তব্য দিয়েছেন। নিজের দুর্নীতির উত্তর না দিয়ে আগের উপাচার্যরা কী করেছেন তা উল্লেখ করে নিজের দায় এড়িয়ে গেছেন, নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করেছেন।
[৪] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তিনি একাডেমিক, প্রশাসনিক, আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা করে চলেছেন। শেখ হাসিনা হলসহ বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পের তিনটি অবকাঠামো নির্মাণে উপাচার্যের দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। তার অপকর্মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়টি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তিনি উপাচার্য হিসেবে দায়িত্বে থাকার নৈতিক মর্যাদা হারিয়েছেন।