শিরোনাম
◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ০৫ মার্চ, ২০২১, ০৩:৪৮ রাত
আপডেট : ০৫ মার্চ, ২০২১, ০৩:৪৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] জাতির পিতাকে হত্যার মাধ্যমে সমাজতন্ত্রের অবসান হয়েছে : অধ্যাপক রেহমান সোবহান

ওয়ালি উল্লাহ :  [২] ‘৫০ বছরে বাংলাদেশ : ফিরে দেখা ও ভবিষ্যৎ’ শিরোনামে হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউট ও মিত্তাল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনলাইনে দুই দিনের সম্মেলনের প্রথম দিনে বুধবার এ কথা বলেন তিনি। সম্মেলনে মূলত বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ এবং বর্তমান সময় ও ভবিষ্যত্ নিয়ে আলোকপাত করা হয়।

[৩] অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, ৫০ বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো দেশে কার্যকর নির্বাচন ব্যবস্থা তৈরি করা যায়নি। সংসদও অকার্যকর, যেখানে কারো জবাবদিহির ব্যাপার নেই। সংসদ সদস্যরা তাদের অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে এমপি পদ ব্যবহার করেন এবং তারা নিয়ন্ত্রণের বাইরে। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া এলিট শ্রেণি ব্যাংকিং চ্যানেল ব্যবহার করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নিয়ে তা পরিশোধ না করার রীতি চালু করেছে। পুঁজিবাদের অর্থনীতি থেকে এলিট শ্রেণি সুবিধা পেয়েছে। তারা প্রচুর অর্থসম্পদ স্থানান্তর করেছে।

[৪] রেহমান সোবহান বলেন, গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় বাংলাদেশ শুরু থেকে কাঠামোগত সীমাবদ্ধতার মধ্যে আছে। আর সমাজতন্ত্রের কথা বলতে গেলে বলতে হবে, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান চেয়েছিলেন, যেন এলিট শ্রেণি দরিদ্রদের শোষণ করতে না পারে।

[৫] আশির দশকের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা শেখ হাসিনা এবং নিহত জেনারেলের স্ত্রীর আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভাবা হয়েছিল একটি গণতান্ত্রিক পুনর্গঠনের সূত্রপাত হলো কি না, এরশাদ সরকারের পতনের পর মনে করা হয়েছিল দ্বিতীয় যুদ্ধজয়। তিনি বলেন, ১৯৯১ সালে গঠিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে প্রথম অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আমিও তার সদস্য ছিলাম। এর একটি বড় অর্জন ছিল সংসদীয় ব্যবস্থার প্রবর্তন ও মুক্ত অবাধ নির্বাচন।

[৬] সে নির্বাচনকে দারুণ প্রতিশ্রুতিশীল মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অন্য আরো অনেক কিছুর মতো শুরুটা যেমন, শেষটা সে রকম হয়নি। সেখানে যে আশাবাদ ছিল, দুঃখজনক হলেও সত্যি, তা আর হয়নি। সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনা বিশাল চ্যালেঞ্জ বলে মনে করেন তিনি। তবে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যেও দেশে চারটি সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে মনে করেন রেহমান সোবহান। তিনি বলেন, ১৯৯১, ১৯৯৬, ২০০১ সালের নির্বাচন এবং ২০০৮ সালের সেনা সমর্থিত সরকারের অধীনে নির্বাচন ছিল সর্বশেষ অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন। এই নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।

[৭] সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এর জন্য কোনো টেকনিক্যাল বিষয় দরকার, তা নয়। কারণ, এটা বাস্তবায়ন করার বিষয়। তা নির্ভর করে রাজনৈতিক নীতিনির্ধারকদের ওপর। তার মতে, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকতে হবে। নতুন গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে। পুরনো বা সাবেকি গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দিয়ে এখন চালানো সম্ভব নয়।

[৮] আলোচনায় অংশ নিয়ে অধ্যাপক রওনক জাহান বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো আইন দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে শৃঙ্খলিত করার ঘটনা উদ্বেগজনক এবং এমন আইন প্রত্যাহার করা প্রয়োজন। মানবাধিকার কমিশনকে আরো সক্রিয় করা দরকার, যা সাধারণ মানুষও চায়। ২০১৮ সালে সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রাজপথে শিক্ষার্থীদের যে আন্দোলন হয়েছিল, সেই আন্দোলন দেখে বুঝতে পেরেছি, আশা হারানো উচিত হবে না। মার্কিন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ রিচার্ড ক্যাশের সঞ্চালনায় সম্মেলনের অপর অংশে বক্তব্য দেন অর্থনীতিবিদ ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ, ওয়াটার এইডের আঞ্চলিক প্রতিনিধি খায়রুল ইসলাম এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব গভর্নেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক ইমরান মতিন।

সূত্র : ইত্তেফাক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়