ফজলুল বারী: আগরতলার সাংবাদিক অনিল ভট্টাচার্যের কাছে শুনেছিলাম, মুক্তিযুদ্ধের সময় সাংবাদিক শাহাদাত চৌধুরী প্রায় তাদের কাছে আসতেন জিয়ার যুদ্ধের রিপোর্ট করাতে। জিয়া এই করেছেন, জিয়া সেই করেছেন। কিন্তু খালেদ মোশাররফ বা অন্য মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের নিউজ নিয়ে কোনো আগ্রহ ছিলো না। তারা শুধু যুদ্ধই করে যাচ্ছিলেন। তখনই জিয়াকে তাদের প্রচারপ্রিয় মনে হচ্ছিলো। রৌমারীতে মুক্তিযোদ্ধা সাংবাদিক আব্দুর রাজ্জাক আমাকে বলেছিলেন, তারা সেখানে জিয়া-তাহেরের ঝগড়া দেখতেন। তাহের সম্মুখযুদ্ধের পক্ষপাতি ছিলেন সব সময়। জিয়া ছিলেন এর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে প্রায় বাদানুবাদ হতো। যুদ্ধের ৯ মাস নদী বিচ্ছিন্ন রৌমারী রাজিবপুর স্বাধীন ছিল। এরশাদ আমলে তরুণ বামপন্থী নেতা ছোটন ভাই আমাদের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় সিলেটের সিভিল সার্জন ছিলেন ছোটন ভাইয়ের বাবা।
তিনি আমাকে বলেছেন, ডিসেম্বরের শুরুর দিকে জিয়া তামাবিল এলাকার এক চা বাগানের বাংলোয় এসে ওঠেন। তখন তাকে তাদের যুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট মনে হয়নি। আবার ভারতীয় বাহিনীর হাতে সিলেটের পতনের পর ভারতীয় অফিসারদের সঙ্গে জিয়া ছবি তোলেন। এখন বিএনপি নেতারা জিয়ার যুদ্ধের কাহিনি বলেই যাচ্ছেন, কিন্তু কোথায় সেই যুদ্ধ, এসবের ব্যাখ্যা বর্ণনা কেউ দিতে পারেন না। জিয়ার খেতাব সংকটগ্রস্ত হবার পর তারা ৭ মার্চের ভাষণ নিয়েও দরদী হয়ে উঠেছেন। অথচ বিএনপি ক্ষমতায় থাকতে বেতার টিভিতে নিষিদ্ধ ছিল ৭ মার্চের ভাষণ। এ ভাষণ কেউ বাজাচ্ছে দেখলে পাড়ার মাইক পর্যন্ত তারা কেড়ে নিয়েছেন। ইউনেস্কো ঘোষিত ঐতিহ্য ৭ মার্চের ভাষণ এখন বিএনপি না শুনলেও চলবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :