রাশিদুল ইসলাম : [২] সমালোচকরা বলছেন সিরিয়ায় বাইডেনের হামলার নির্দেশ ভন্ডামি। কারণ বাইডেন প্রশাসন ট্রাম্প প্রশাসনের যুদ্ধংদেহী মনোভাব ত্যাগ করে ইরানের সঙ্গে পরমানু সমঝোতা চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছে। তারপর তিনি ট্রাম্পের পদাংক অনুসরণ করে সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নির্দেশ দেন। আরটি
[৩] পেন্টাগন বলছে বাইডেনের নির্দেশেই হামলা হয়েছে এবং সিরিয়ার পূর্বাঞ্চলে ইরান সমর্থিত ১৭ জন মিলিশিয়া মারা গেছে। পেন্টাগন এ হামলাকে প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ এবং ইরাকে মার্কিন ও জোটের সেনাদের ওপর হামলার প্রতিশোধ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
[৪] অনলাইনে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা ট্রাম্পের শাসনামলে সিরিয়ার হামলায় বাইডেনের বক্তব্য স্মরণ করিয়ে বলছেন তখন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট এধরনের হামলার কড়া সমালোচনা করেছিলেন। আর এখন তিনি যুদ্ধেই ফিরে যাচ্ছেন।
[৫] ২০১৭ সালের এপ্রিলে ট্রাম্পের নির্দেশে সিরিয়ায় ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর বাইডেনের আজকের মুখপাত্র জেন সাকি টুইটে বলেছিলেন এধরনের অবৈধ হামলার আইনগত কর্তৃপক্ষ কে ? আসাদ নিষ্ঠুর শাসক। কিন্তু সিরিয়া একটি সার্বভৌম দেশ।
[৬] গত বছর জানুয়ারিতে বাইডেন ইরানের জেনারেল কাসেম সোলায়মানিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ায় ট্রাম্পের তীব্র সমালোচনা করে বলেছিলেন এধরনের হত্যাকাণ্ড একটি বিপজ্জনক পদক্ষেপ।
[৭] সমালোচকরা সিরিয়ায় নতুন করে হামলা সিরিয়া ও ইরাক পরিস্থিতির আরো অবনতি করবে বলছেন। ‘নেভার ট্রাম্পার’ হিসেবে পরিচিত জেনিফর রুবিন বলেন বাইডেনের এই হামলা ইরানের সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়ার অভিপ্রায়কে অসামঞ্জস্য করে তুলবে।
আপনার মতামত লিখুন :