ডেস্ক রিপোর্ট: প্রাণিজগতের কিছু প্রজাতি আছে যাদের প্রতিটি সদস্যের চেহারাই এক। একটির থেকে আরেকটিকে কোনোভাবেই আলাদা করা সুযোগ নেই। শীতপ্রধান অঞ্চলের প্রাণী পেঙ্গুইন তেমনই একটি প্রাণী। অঞ্চলভেদে আকারের কিছুটা তফাৎ হলেও সাদা-কালো এদের ব্র্যান্ড রং। উত্তর মেরু, মাদাগাস্কার কিংবা জর্জিয়া সব অঞ্চলেই গোষ্ঠীবদ্ধ প্রাণীটির মূল চেহারা ফুটে ওঠে ওই দুই রঙেই। তবে সম্প্রতি জর্জিয়ায় এমন একটি পেঙ্গুইন চোখে পড়েছে যা আগে কখনো দেখা যায়নি। দেশ রূপান্তর
সম্প্রতি বেলজিয়ামের ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার অ্যাডামের ক্যামেরায় ধরা পড়েছে দক্ষিণ জর্জিয়ার বরফাবৃত অঞ্চলে সাদা আর হলুদ রঙের প্রাণীটি। অ্যাডাম বিরল প্রাণীটির ছবি প্রকাশের পরই তা ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। দক্ষিণ এশিয়ার অনেকেই মন্তব্য করেছেন, ‘প্রাণীটির বিয়ে উপলক্ষে হয়তো গায়ে হুলুদ হয়েছে’!
তবে অদ্ভুত ওই মুহূর্তকে ঈশ্বরপ্রদত্ত বলে আখ্যা দিয়েছেন বেলজিয়ামের ওই ফটোগ্রাফার। নিজেকে তিনি ভাগ্যবান বলেও দাবি করেছেন। কারণ আর ৫০ মিটার দূরে থাকলে ওই সুদর্শন পেঙ্গুইনের দর্শন মিলত না বলেই জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, এমন দৃশ্য তিনি তার জীবনে প্রত্যক্ষ করেননি। ওই পেঙ্গুইনের ছবির সিরিজ নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন অ্যাডাম।
অ্যাডামের তোলা ছবিতে দেখা গেছে, পরিচিত সাদা-কালো বসন ছেড়ে হলুদে মজেছে। তার গায়ের সাদা রঙের মধ্যে ভাগ বসিয়েছে কালো নয়, হলুদ রং। প্রায় দুই বছর আগে তোলা ওই ছবি হইচই ফেলে দিয়েছে গোটা বিশ্বে। অবাক হয়েছেন পশুবিশেষজ্ঞ থেকে পরিবেশবিদরাও।
২০১৯ সালে দক্ষিণ জর্জিয়ায় এক এক্সপিডিশনে গিয়েছিলেন বেলজিয়ামের ওই ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার। লাইন দিয়ে হেঁটে চলা সাদা-কালো পেঙ্গুইনদের ক্যামেরাবন্দি করার সময় আচমকাই তার চোখে বৈচিত্র্য ধরা দিয়েছিল। সবার থেকে আলাদা ওই প্রাণীর চালচলনও রাজকীয় ছিল বলে জানিয়েছেন অ্যাডাম।
দক্ষিণ আটলান্টিকের অন্তর্গত দক্ষিণ জর্জিয়ায় একসঙ্গে প্রায় এক লাখ ২০ হাজার কিং পেঙ্গুইন থাকে। সেই জনসংখ্যায় হলদেটে পেঙ্গুইনের সংখ্যা কত, তা অবশ্য জানা যায়নি। এ ব্যাপারে গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
আপনার মতামত লিখুন :