কাজী আহমদ পারভেজ: কতিপয় তথ্য কনিকা : [১] এদেশে পঞ্চান্নোর্ধ জনসংখ্যা, আড়াই কোটির মতো।
[২] চল্লিশোর্ধ, ৬ কোটির কাছাকাছি ।
[৩] আঠারোর্ধ, ১১ কোটির মতো। তার মানে আপনি যখন ১৮টা ক্যাটাগরি প্লাস পঞ্চান্নোর্ধ জনসংখ্যাকে টিকার আওতায় আনতে চাইছেন, আপনি অলরেডি ৩ কোটির বেশি লোকের লোড নিয়ে বসে আছেন। তবে হ্যাঁ, তাদের অনেকেই রিচেবল নয়। টিকা দিতেও ইচ্ছুক নন। সেক্ষেত্রে এটাকে ৫৫ থেকে নামিয়ে ৪০ এ আনা যেতেই পারে। কারণ তাতে মোট জনসংখ্যা ৬ কোটি প্লাস হলেও তাদের আনরিচেবল ও আনউইলিং অংশ বা দিলে তা ৩/৪ কোটি বা তার আশেপাশেই হবে।
কিন্তু এখন শোনা যাচ্ছে, ১৮’র ঊর্ধ্বে সবার জন্যই এখন থেকেই কোভিড ভ্যাকসিন উম্মুক্ত করে দেওয়া হবে। তা যদি হয়ই, তা ১৬+ এর জন্যই করা হোক, ১৮ কেন? আর ১৮+ যদি করাই হয়, ১১ কোটির চাপ কীভাবে সামলানো হবে, তার একটা পরিকল্পনা বা ধারণা থাকা দরকার। মনে রাখা দরকার, ১৮ থেকে ৪০ এই রেঞ্জে যে ৫ কোটির মতো মানুষ আছে তারা কিন্তু বাদবাকিদের মতো অনিচ্ছুক বা নাগালের বাইরে নয়। তাদের প্রায় ৪ কোটিই ঘোষণা মাত্র টিকা নিতে এসে যাবেন। সেক্ষেত্রে ১১ কোটির মধ্যে প্রকৃত চাপ দাঁড়াবে ৩+৪= ৭ কোটি।
এতোজনকে নিবন্ধন করে টিকা দিতে মাসের পর মাস ফেলে রাখলে সেটাকে ব্যর্থতা হিসাবে দেখানোর মতো লোকের অভাব হবে না। অথচ এই বাড়তি ৫ কোটি মানুষের খুব কমই প্রকৃত অর্থে তেমন ঝুঁকিপূর্ণ দলের অন্তর্ভুক্ত। যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগেই ভেবে চিন্তে নেয়া উচিত বলে আমার মনে হয়। কারণ কবি বলেছেন, ভাবিয়া করিও কাজ, করিয়া ভাবিও না।
পুনশ্চ:আমার মনে হয়, একবারে বয়স সীমা ১৮-তে না নামিয়ে, প্রতি ২-৪ সপ্তাহ পর পর রেজিস্ট্রেশনের হার বুঝে ৫-৭ বছর করে নামানো যেতে পারে। কিতাবী ভাষায় যাকে বলে ইনক্রিমেন্টাল চেঞ্জ। একবারে নামানোটাকে বলে, ড্রাস্টিক চেঞ্জ। ফেসবুক থেকে