শিমুল ম্হামুদ: [৩] বুধবার সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সড়কে সমাবেশ শুরু করে বিএনপি নেতারা। সমাবেশকে কেন্দ্র করে এরআগে সকাল ৯ টা থেকেই পুলিশ মোতায়েন করা হয় রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়, আব্দুল গনি সড়ক, কদম ফোয়ারা, মৎসভবন সামনে ও সেগুনবাগিচা এলাকায়।
[৪] সমাবেশ চলাকালে রাস্তার একপাশ খালি রাখা হয় যানবাহন চলাচলের জন্য। তবে ফুটপাত কিংবা প্রধান সড়েকে সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত করে দেয় পুলিশ।
[৫] সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি হাবিব উন নবী খান সোহেল অভিযোগ করে বলেন, আমাদের বহু মিছিলকে রাস্তায় বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে। নইলে আমাদের সমাবেশ ও আমাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি চলতেই থাকবে, এই কর্মসূচি থাকবে না।
[৬] বেলা সাড়ে ১১ টায় দিকে বক্তব্য রাখেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। তিনি বলেন, ‘জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের হৃদয়ের মধ্যে প্রতিমূর্তি। কয়েকজন মাফিয়া তার খেতাব কেড়ে নেবে কি নেবে না- এটা দিয়ে জিয়ার ঐতিহাসিক অক্ষয় অবদানকে মুছে ফেলা যাবে না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, আপনাকে প্রস্তুত থাকতে হবে। শাজাহান খান আপনার খেতাব শুধু নয়, আপনার জীবনের জন্যও হুমকি হতে পারে।’
[৭] দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান বলেন, ‘সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথে নেমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্যে এক দফার আন্দোলনে শরিক হতে হবে। দল-মত নির্বিশেষে সকলকে রাজপথে নেমে এই অবৈধ হাসিনার সরকারের পতন ঘটিয়ে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।’
[৮] তিনি বলেন, ‘জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সকল দল-মতকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজপথে নেমে জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।’