আরিফ জেবতিক : অভিজিত হত্যাকারীদের ফাঁসি দেওয়া যাবে সহজেই, কিন্তু তাদের চেতনাকে ফাঁসি দেওয়া সহজ হবে না। যে ভয়ের সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে, রাষ্ট্র যেভাবে প্রকাশক থেকে শুরু করে ফেসবুকের গলিঘুপচিতে চোখ রাঙায়, এতে করে অভিজিত হত্যাকারীদের ফাঁসি শুধু শারীরিক একটা শাস্তিই হতে যাচ্ছে মাত্র। অভিজিতকে হত্যা করে বইমেলা তুলে দেওয়া হয়েছে আরিফ আজাদদের হাতে। এক ফারাবী হয়তো যাবজ্জীবন খাটবে, কিন্তু এখন কমেন্ট সেকশনগুলোয় হাজার হাজার ফারাবীর আবির্ভাব ঘটেছে। অভিজিত হত্যার বিচারে এর কিছুই বদলাবে না...।
নির্বাচিত মন্তব্য : [১] মোহাম্মদ রহমান মিজান-যেকোনো হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার আশা করে জনগণ রাষ্ট্রের নিকট থেকে, সেখানে কে কোন দল বা মতের সেটা মুখ্য নয়। তাই অভিজিৎ দাদার বিপরীতে আরিফ আজাদের তুলনা দেওয়া ও নিজ সংকীর্ণতার পরিচয়, আরিফ আজাদরাও রাষ্ট্রের অংশ, হয়তো বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতীক? যদিও তাদের ঢাকঢোল কম বাজে কথিত স্বৈরাচারী সুশীলদের হাতে মিডিয়া বন্দী হয়ে আছে বলে। আরিফ আজাদেরকে আপনারা অস্বীকার করেন বলেই এই দেশে হিংসার সংস্কৃতি লালন হয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ থেকে গ্রামের অলি গলিতেও।
[২] জন সাদেক- দেশে বলে জঙ্গি নাই, অথচ কিছু কিছু পোস্টের কমেন্ট পড়লে দেখা যায় জঙ্গিতে দেশটা গিজ গিজ্ করতেছে। শুধু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভয়ে বিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে না। আমাদের দেশের জঙ্গিদের সাময়িকভাবে ধমন করে রাখা গেলেও আদর্শের দিক থেকে গোড়া থেকে জঙ্গিবাদকে উপ্রে ফেলার মতো কোনো ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না ঠিকমতো। এককথায় বর্তমান সরকারের জঙ্গি দমনের সিস্টেম হচ্ছে প্রবল এলার্জির শরীরে একটা অ্যালাট্রল দিয়ে সাময়িক চুলকানি দমন করে দেওয়ার মতো। ফেসবুক থেকে