ঈশ্বরদী প্রতিনিধি: ঘুমন্ত অবস্থায় পাবনার ঈশ্বরদী থানার এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ঈশ্বরদী থানার ব্যারাক থেকে ওই পুলিশ সদস্যের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত ওই পুলিশ সদস্যের নাম আব্দুল মান্নার। তিনি ঈশ্বরদী থানায় কর্মরত ছিলেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি রাজশাহীর বাঘমারা শহরে। বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। তাঁর স্ত্রী ও দুই ছেলেমেয়ে রয়েছে।
ঈশ্বরদী থানা সূত্রে জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টায় সেন্ট্রি ডিউটি করার সময় কনস্টেবল মান্নান হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে তাৎক্ষণিক ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।প্রাথমিক চিকিৎসার পর ওই রাতেই থানার ফিরে তিনি ব্যারাকে ঘুমিয়ে পড়েন। মঙলবার দুপুর ১২টার দিকে ব্যারাকের অন্য পুলিশ সদস্যরা তাঁকে ঘুম থেকে অনেকবার ডাকাডাকি করেন। কিন্ত কোনো সাড়াশব্দ না পাওয়ায় সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা তাঁর শরীর স্পর্শ করে বুঝতে পারেন ঘুমন্ত অবস্থায় কনস্টেবল মান্নান মারা গেছেন।
বিষয়টি জানার পরপরই ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির এবং ওসি মো: আসাদুজ্জামান মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বিষয়টি পাবনা পুলিশ সুপার মহিবুর রহমান ও মৃত আব্দুল মান্নানের স্বজনদের অবহিত করা হয়।
কনস্টেবল মান্নানের প্রথম জানাজা বিকেল পৌনে ৪টায় ঈশ্বরদী থানা চত্বর ও দ্বিতীয় জানাজা পৌনে ৬টায় পাবনা পুলিশ লাইন মাঠে অনুষ্ঠিত হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান বলেন, কনস্টেবল মান্নান একজন ভালো পুলিশ সদস্য ছিলেন। তিনি ডায়েবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের জটিলতায় ভুগছিলেন। তাঁর অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। থানায় কর্মরত অবস্থায় মারা যাওয়া বাংলাদেশ পুলিশের নিয়মানুযায়ী তাঁর পরিবার সকল সুবিধা পাবেন।
এদিকে মৃত্যুর খবর পেয়ে আব্দুল মান্নানের ভাই প্রথম আলোর বাঘমারা প্রতিনিধি মামুনুর রহমানসহ স্বজনেরা ঈশ্বরদী আসেন। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়ে মামুনুর রহমান তাঁর ভাইয়ের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা ও দোয়া প্রার্থনা করেন।