নূর মোহাম্মদ: [২] সোমবার শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া জ্যেষ্ঠ আইনজীবী কামাল উল আলম বলেন, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তিকে বিতর্কিত করা হলে রাষ্ট্রকেই বিতর্কিত করা হয়। প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম বলা হচ্ছে, অভিযোগ করা হচ্ছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনো যোগসূত্র দেখাতে পারেনি। রিট আবেদনকারীর সংক্ষুব্ধ হওয়ার যৌক্তিকতা নেই। এই আবেদন গ্রহণ করা হলে তা আপিল আপিল বিভাগের ১৪টি গাইডলাইনের বাইরে চলে যাবে।
[৩] অ্যামিকাস কিউরি ফিদা এম কামাল বলেন, আইনে বিটিআরসিকে ক্ষমতা দেয়া আছে। এই ডকুমেন্টরী আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় দিয়েছে। অন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলে গেছে। এখানে রিট আবেদনকারী দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন, তিনি কিভাবে সংক্ষুব্ধ। এটা সরকারের অগোচরে হয়নি। সরকার দেখেছে। প্রতিবাদ করেছে। সরকার মনে করেনি এটা বন্ধ করা দরকার।
[৪] অ্যামিকাস কিউরি প্রবীর নিয়োগী বলেন, এখানে ব্যক্তির রিটের সুযোগ নেই। এটা সরকারের নির্বাহী বিভাগের কাজ। তারা সিদ্ধান্ত নেবে। অ্যামিকাস কিউরি আবদুল মতিন খসরু বলেন, আদালত আদেশ দিতে পারেন। এটা না করলে তারা পার পেয়ে যাবে। আবারও করতে পারে।
[৫] অ্যামিকাস কিউরি ড. শাহদীন মালিক বলেন, এ আবেদনের আগে আবেদনকারীকে বিবাদীদের নোটিশ দিতে হবে। তাছাড়া বাংলাদেশে মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীণতা রয়েছে। পরে আগামীকাল বুধবার প্রর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন হাইকোর্ট। ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানিতে অংশ নেবেন।