মুনশি জাকির হোসেন : আওয়ামীলী বর্গাকারে শত্রু বেষ্টিত একটি রাজনৈতিক দল। এই দলের ভিতরে, বাইরে, দেশে, বিদেশে, ডানে, বামে, সামনে, পিছনে, উত্তরে, দক্ষিণে, পূর্বে, পশ্চিমে, আসমানে, জমিনে, ভূগর্ভে শত্রুর অভাব নেই। এসব শত্রু চর্ম চোক্ষ্যে দৃশ্যমান। আওয়ামীলীগের আরেক ভয়ংকর শত্রু হলো এই দলের ভিতরের ঘাপটি মারা শত্রু। এদের সংখ্যা অগণিত। নিজ দলের মধ্যেই শত্রু বিরাজমান। এই শত্রু তালিকায় কর্মী এবং সমর্থক নেই। আছে নেতা, এমপি, মন্ত্রী পর্যায়ের লোক। সেই তালিকায় কেন্দ্র থেকে তৃণমূল পর্যন্ত, তবে বেশির ভাগই উচু তলার নেতারা। আওয়ামীলীগের ভিতরকার শত্রুগুলোর একটি কমন গ্রাউন্ড আছে, এরা পুঁজিবাদ এবং সামন্তবাদের ভূত, এরা সকলেই দল ও সরকার থেকে সাম্ভাব্য সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করে মাঝে মাঝে অতিরিক্তও ভোগ করে।
দল এবং দেশের চেয়ে ব্যক্তিগতভাবে বেশি স্বার্থোন্মত্ত ব্যক্তিগত সুযোগ- সুবিধার প্রশ্নে যেকোনো অনৈতিক-অপকর্ম করতে সিদ্ধহস্ত। এরা নিজ প্রয়োজনে নিজদলের লোক খুন করে, প্রয়োজনে বিএনপি-জামাতের সঙ্গেও আঁতাত করে। ৭৫ এর পরে যারা গর্তে ছিলো তারা তখনই বাতিল হয়েছিলো আজকে যে লোকটি আওয়ামীলিগের জন্য জীবন বাজি রাখতে মরিয়া কালই যদি দল থেকে কাঙ্খিত সুযোগ সুবিধা না পায় তাহলে আওয়ামীলীগকে উলঙ্গ করতে সে মরিয়া হবে।
খেতাব কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাবকারী এই দুই ফিল্টারেই ধরা। আওয়ামীলীগের রাজনীতির মূল শক্তি মধ্যবিত্তের সাধারণ মানুষ থেকে তৃণমূলের সাধারণ কর্মী এবং সমর্থক। সেই সাথে বঙ্গবন্ধু এবং শেখ হাসিনার রাজনৈতিক ইশতেহার বাকি সব ধইঞ্চা। ফেসবুক থেক শাহিন