শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:১২ দুপুর
আপডেট : ১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ১০:১২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

উম্মে সালমা কলি: বাচ্চাদের ক্লাসে অ্যাসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিলো, তুমি কোন কোন জিনিসে ভয় পাও? কী লিখেছে, জানেন?

উম্মে সালমা কলি : বাচ্চাদের ক্লাসে এসাইনমেন্ট দেওয়া হয়েছিলো, তুমি কোন কোন জিনিসে ভয় পাও? যেই জিনিসে ভয় পায় তার ছবি এঁকে নিচে লিখতে বলা হয়েছিলো সেটার নাম, বা শুধুই বর্ণনা ছবি আঁকা সম্ভব না হলে। কোনো বাচ্চা এঁকেছে মাকরসার ছবি, কেউ এঁকেছে মৌমাছির ছবি, কেউ বলেছে সে বজ্রপাতে ভয় পায়। একটি বাচ্চা লিখেছে, তার মা যখন অন্ধকার ওয়াশরুমে আটকে রাখে তখন ভয় পায়। এটা দেখে টিচার স্তম্ভিত। ফোন গেলো মায়ের কাছে। ইমিডিয়েটলি হাউজ ভিসিটের ব্যবস্থা হলো। চাইল্ড এইড সোসাইটি হতেও লোক এলো। মা প্রথমে বলতে চাইছিলেন না, পরে স্বীকার করেন যে, দু’ একবার এমন করেছে বাচ্চা কথা না শোনায়। কিন্তু ওই বাচ্চার বড় বোন জানায় প্রায়ই করে এটা মা, ছোট ভাই দুষ্ট, তাই। এবার বাচ্চার কাছে জানতে চাওয়া হয় ডিটেইলস।

বাচ্চা ভয়ে ভয়ে মায়ের দিকে আর বাবার দিকে তাকায়। ওকে অন্যরা আশ্বস্ত করে যে, ভয় নেই, তুমি বলো। ও তারপর বলে, কীভাবে আম্মু ওকে অন্ধকার ওয়াশরুমে আটকে রাখে একটু ভুল হলেই। ওর অনেক ভয় লাগে, কিন্তু আম্মু খুলে দেয় না। অনেক পরে খুলে দেয় যখন আর কান্না করার শক্তি থাকে না। বাচ্চার কাছে জানতে চাওয়া হয়, তুমি কি এই বাসায় থাকতে চাও? ও বলে, আমি এই আম্মুর সঙ্গে থাকতে চাই না। কার সঙ্গে থাকতে চাও জিজ্ঞাসা করলে বলে, নানুর সঙ্গে থাকবে। ডিসিশন নেওয়া হয়ে বাচ্চাকে আজই নিয়ে যাওয়া হবে, ওর নানু ওই শহরেই থাকে। বাচ্চার মা এবার বুঝতে পারলো কি হতে যাচ্ছে। কান্নাকাটি,  হাত-পা ধরেও মন গলাতে পারলো না চাইল্ড এইড সোসাইটির লোকেদের। বাচ্চা আগামী ১ মাস নানুর সঙ্গে থাকবে। নিয়মিত খোঁজ নেবে সংস্থার লোকেরা। মা ওই বাসায় যেতে পারবে না।

একমাস পর বাচ্চা যদি মায়ের কাছে ফিরতে চায়, সেক্ষেত্রে বন্ড সই করে নিতে হবে বাচ্চাকে। ভিসিট হবে নিয়মিত বাসায়। বাচ্চা আবারো কমপ্লেইন করলে ওই বাচ্চাকে পার্মানেন্টলি মা হতে সরিয়ে নেওয়া হবে, খোঁজা হবে বিকল্প ব্যবস্থা। নানুর সঙ্গে থাকবে শুনে বাচ্চাটি নাচতে নাচতে গেলো ওর ব্যাগ গোছাতে, খেলনাগুলো নিতে হবে যে। আপনারা যেসব মায়েরা বাচ্চার উপর নিয়মিত টর্চার করেন আর ভাবেন, বাচ্চা প্যারেন্টস হিসেবে আপনাদেরই বেছে নিতো, তারা মস্ত ভুল ভাবনা নিয়ে বসে আছেন। ওদের কোনো জায়গা নেই যাওয়ার, তাই মার খেয়েও আপনার আঁচল ধরে ঘুরে।

কেউ নেই ওদের কথা শোনার, তাই ভয়েই চুপ থাকে আর কাঁদতে কাঁদতে ঘুমায়। ওদের যদি উপায় থাকতো, নিজেদের প্যারেন্টস বেছে নেবার সুযোগ দিতেন ঈশ্বর,  তবে ছুঁড়ে ফেলে দিতো আপনাদের, কখনোই বেছে নিতো না আপনাদের। It is okay to be angry, but it is never okay to be cruel . ফেসবুক থেকে

লেখক : Working on Early childhood development, Toronto, Canada.

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়