শিরোনাম
◈ তালাক হলেও ফিরে আসার পথ—ইসলামী বিধান অনুযায়ী করণীয় ◈ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও নির্বাচন দায়িত্বে নতুন এসপিদের ব্রিফ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ইসির নিবন্ধন সার্টিফিকেট পেলো এনসিপি, প্রতীক ‘শাপলা কলি’ ◈ ক্লাসে না ফিরলে প্রাথমিক শিক্ষকদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থার হুঁশিয়ারি ◈ ইসিকে তফসিল ঘোষণায় সময়সুবিধা বিবেচনার আহ্বান নাহিদ ইসলামের ◈ র‌্যাং‌কিং‌য়ের সেরা আটে মোস্তাফিজ, রিশাদ-ইমন-সাইফদের উন্ন‌তি ◈ ঢাকায় আর্জেন্টিনা ও ব্রাজিলের ক্লাব, খেল‌বে লাতিন বাংলা সুপার কাপ ◈ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ চেয়ে নতুন কর্মসূচি ৭ কলেজ শিক্ষার্থীদের (ভিডিও) ◈ ১৯ দেশে অভিবাসন ও গ্রিন কার্ড আবেদন স্থগিত করল ট্রাম্প প্রশাসন” ◈ ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর আইনগত ভিত্তি নেই: ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি বাণিজ্য উপদেষ্টার (ভিডিও)

প্রকাশিত : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৮:৩৫ সকাল
আপডেট : ১৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৮:৩৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বোয়ালমারীতে ৭১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার

সনত চক্রবর্ত্তী: [২] মাতৃভাষা আন্দোলনের ৬৮ বছর পার হলেও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ৭১ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এখনো তৈরি হয়নি শহীদ মিনার। এর ফলে ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও ভাষা শহীদদের সম্পর্কে কোন ধারনা নেই তরুন প্রজন্ম। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে তা বছরের পর বছর পড়ে থাকে অযত্ন আর অবহেলার।

[৩] আর যেসব প্রতিষ্ঠানে একবারেই নেই শহীদ মিনার সে সকল প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা দিবস এলে কলাগাছ দিয়ে শহীদ মিনার তৈরি করে দায়িত্ব সারে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারণে এতো বছরেও এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মিত হয়নি বলে মনে করেন সুধী সমাজ।

[৪] জানা গেছে, বোয়ালমারী উপজেলায় ১০২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ২৬টি, কলেজ ৬টি ও মাদরাসা ১৭ টিসহ মোট ১৫১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এর মধ্যে ৬টি কলেজ, ২৬টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৪টি মাদ্রাসা ও ৩৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভাষা আন্দোলনের প্রতীক শহীদ মিনার থাকলেও ৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। ফলে ৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২১ ফেব্রুয়ারি পালন করা হয় শুধুমাত্র জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে।

[৫] এ কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন থেকে বঞ্চিত থাকে। এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম অসন্তোষ বিরাজ করছে। আর যেসব প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার আছে; তারমধ্যে কিছু শহীদ মিনার তা বছরের পর বছর পড়ে থাকে অযত্ন আর অবহেলার । এসব শহীদ মিনারে কখনও গবাদি পশুর বিচরণ আবার কখনও বখাটেদের আড্ডাস্থলে পরিণত হতে দেখা যায়।

[৬] বোয়ালমারী মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদ্য সাবেক কমান্ডার অধ্যাপক আব্দুর রশিদ বলেন, স্বাধীনতার ৬৮ বছরেও অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকা সত্যিই দুঃখজনক। এ এলাকার কমলমতি শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তিযুদ্ধ ও ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস জানতে এসব প্রতিষ্ঠানে সরকারিভাবে শহীদ মিনার নিমার্ণ করা জরুরি। উপজেলা পরিষদের আগামি মিটিংয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ সম্পর্কে আমি প্রস্তাব রাখবো।

[৭] বোয়ালমারী উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ঝোটন চন্দ বলেন, কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও প্রধান শিক্ষক নিজ উদ্যোগে অনেকটা শহীদ মিনার করেছেন। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এখনো শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ চলছে। অবহেলিত এলাকায় যে প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়