মাজহারুল শিপলু: [২] টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী অব বাংলাদেশ (পিজিসিবি) বিদ্যুৎ প্রকল্পের নিরাপত্তা প্রহরীর সাথে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
[৩] বুুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পোষ্টকামুড়ী চরপাড়া এলাকায় নির্মানাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এতে প্রকল্পটির প্রায় ১৫-১৭ লাখ টাকার মালামাল ও নগদ ১ লাখ টাকার মতো ডাকাতি হয়েছে বলে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার দাবি।
[৪] প্রকল্পটির নিরাপত্তা কাজে নিয়োজিত ও প্রত্যক্ষদর্শী বাবুল হোসেন বলেন, বুধবার সন্ধ্যায় মির্জাপুর থানার পুলিশ পরিচয়ে একজন ব্যক্তি আমাদের সাইটে ঢুকে। এরপর তাকে নিয়ে আমি স্যারের রুমে গেলে দেখি আরো দুইজন লোক গেটে থাকা অন্য দুই নিরাপত্তা প্রহরীকে নিয়ে আসে। এক পর্যায়ে আমাদের পরেশ স্যারের ফোন আসলে ডাকাত দলের একজন রিভালবার বের করে আমাদের সবাইকে জিম্মি করে। স্যারকে লোহার পাইপ দিয়ে বেধম মারতে থাকে। প্রায় ৩০-৪০ মিনিটের মধ্যে ১০ থেকে ১৫ জন লোক সাইটে কর্মরত সবাইকে হাত মুখ বেঁধে প্রথমে একটি টিনের ঘরে ও পরে সাইটের অন্য একটি বিল্ডিং রুমে উল্টো করে শুইয়ে রাখে। আমাদের ফোন-ঘড়িসহ সঙ্গে থাকা সবকিছু নিয়ে নেয়। ডিউটি মোতাবেক সাইটে কর্মরত যারাই সাইটে ঢুকেছে একে একে সবাইকে হাত মুখ বেঁধে আটকে রেখেছে। কয়েকজনকে মারধরও করেছে। এরপর মধ্যরাতের দিকে সাইটে গাড়ি ঢুকিয়ে মালামাল লুট করেছে।
[৫] ডাকাতির ঘটনার পর পরিদর্শন করেছেন সহকারি পুলিশ সুপার (মির্জাপুর সার্কেল) দীপংকর ঘোষ।
[৬] সাইট সুপারভাইজার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ডাকাতির পর ছাড়া পেয়ে রুমে এসে দেখি ট্রাংকে থাকা ৯২ হাজার টাকা নাই। এছাড়া অন্য সবার যার কাছে যতো টাকা ছিল সবই নিয়ে গেছে।
[৭] সাইটটির ইঞ্জিনিয়ার সালমান হোসেন বলেন, ডাকাতরা আমাদের স্টোর রুমে থাকা গিয়ার কানেক্টর, জিবি ক্যাবল, ফিটিংস ও ওয়্যারিং ক্যাবল ইত্যাদি সরঞ্জাম নিয়ে গেছে। যেগুলোর ক্রয় মূল্য ১৫-১৭ লাখ টাকার উপরে হবে।
[৮] এ বিষয়ে মির্জাপুর থানা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. গিয়াসউদ্দিন জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত চলছে। অভিযোগ পাওয়ার পর পরবর্তীতে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সম্পাদনা: হ্যাপি
আপনার মতামত লিখুন :