শিরোনাম
◈ নতুন নির্দেশনা: সরকারি কর্মচারীদের বেতন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটবে কর ◈ সৎ ও স্বপ্নবাজ মানুষরাই হবে নতুন রাজনীতির চালিকাশক্তি”— নাহিদ ইসলাম ◈ এনসিপি কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ, ‘নিক্ষেপকারীরা’ আটক (ভিডিও) ◈ মহাসড়কে আগুন জ্বালাতে গিয়ে ছাত্রদল নেতা দগ্ধ ◈ নতুন নির্বাচনী আচরণবিধি জারি: পরিবেশ রক্ষা ও ব্যয় নিয়ন্ত্রণে কঠোর শর্ত ◈ প্রবাসীকে বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন কীভাবে হয়, প্রশ্ন ইসি সানাউল্লাহর ◈ দেশে আবারও বাড়ল সোনার দাম, ভরি কত? ◈ হঠাৎ যেভাবে ধানমন্ডির ভোটার হলেন আসিফ মাহমুদ ◈ নভেম্বরের ৯ দিনে রেমিট্যান্স প্রবাহে ৪৮.৭ শতাংশ বৃদ্ধি ◈ জুলাই সনদ ও গণভোটের সমাধান কোন পথে?

প্রকাশিত : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৮:৫৯ সকাল
আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৮:৫৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সেই ধবধবে সাদা মেয়েটা গায়েব মানে একেবারেই নাই। ও আল্লাহ ! এটা কি হলো!

ডেস্ক রিপোর্ট : আমরা তখন মেডিকেলে পড়ি। আমাদের সাথে ধবধবে সাদা এক মেয়ে পড়তে আসলো, পর্দা করে খুব। চোখ দুটো ও ঢাকা থাকে। সবার ওকে নিয়ে খুব কৌতুহল। ছেলেদের মাথানষ্ট। তখনো স্মার্ট ফোন নামক জিনিসটা শুধু কল্পনা, আর ক্যামেরা সবার কাছে নাই। আর সেই ধবধবে সাদা মেয়েটা বেশ বুদ্ধিমতি, কেউ তার ছবিও তুলতে পারেনা।

হঠাৎ হঠাৎ ই বেশ কিছুদিনের জন্য সে গায়েব হয়ে যেতো। আইটেম পেন্ডিং। শিক্ষকেরা বারবার তাগাদা দেন ওকে জানানোর জন্য। ছেলেরা তখন নড়েচড়ে বসে। ওর ফোন নম্বরটা চায়। আমাদের মেয়েদের কাছেই নাই, আর ছেলেদের কে দিবে।
একবার অনেকদিন পর ক্যাম্পাসে তার প্রত্যাবর্তনের পর সবাই নিজের নিজের চিন্তামতো তাকে বিবাহিত বানায় দিলো। সে হ্যাঁ অথবা না কিছুই বলেনা।কোনোকিছুতেই তার কোনো বিকার নাই।

যাই হোক প্রথম প্রফেশনাল পরীক্ষার পর অনেকে ওকে জ্বীন উপাধি দিলো। কারন প্রতিটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নাকি ওনারা মানুষ সেজে শিক্ষা নিতে আসে। হোষ্টেলেও সে পর্দা করতো, মাঝেমাঝে রাতে ফিল্টার এ পানি নিতে আসলে হঠাৎ তাকে দেখে অনেকেই চিৎকার করে উঠতো। দেয়ালের মতো সাদা রং আর সাদা ঘোমটা। তার এই নামের সাথে বেশ সাযুজ্য ঘোষনা করতো।

প্রতিবার কিছু ছেলে কমলাপুর স্টেশনে নামার আগে থেকেই পরিকল্পনা করে রাখতো ওর পিছু নিবে, ঠিকানা জানা দরকার , আর মানুষ অথবা জ্বীন - এই কল্পনার অবসান দরকার।

যাইহোক সেবার আমি আমার হবু বর , আর দুইটা বন্ধু। স্টেশনে ওর পিছু নিলাম। আমি হলাম দুধভাত সদস্য এই মিশনের। ট্রেন থামার পর পরই ও নেমে এত দ্রুত হাটতে লাগলো , যে কি বলবো। আমরাও পরিমরি করে ওর পিছু ছুট। রিক্সা-সি এনজি থামার জায়গাটা পর্যন্ত সে আমাদের সামনে সামনেই ছিলো। হঠাৎ করেই সে গায়েব।

গায়েব মানে একেবারেই নাই। ও আল্লাহ ! এটা কি হলো! আমাদের আশংকাতো একেবারই সত্যি প্রমানিত হলো।
হঠাৎ এক নারী জুতা ; আর একটা খোলা ম্যানহোল। দেখি দুইহাতে প্রানপনে সেই ম্যানহোলের দুইধার ধরে হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করতেছে। তাড়াতাড়ি আমার বাকী তিন বন্ধু ওকে টেনে তুললো। একপাটি জুতার মায়া ত্যাগ করে সামনে বসে থাকা এক সি এন জিতে ধুপ করে উঠে বসলো ।
হায় আমরা অবাক ! তার চলে যাওয়াটুকু দেখতে দেখতে নিজেদের মিশনের কথা ভুলে গেলাম।
#Snigdha
গল্প নহে সত্যি।
Mahfuza Begum

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়