শিরোনাম
◈ উগ্রপন্থা, সীমান্ত অচলাবস্থা ও রাজনৈতিক অস্থিরতা—বাংলাদেশসহ পাঁচ প্রতিবেশীকে ‘হুমকি’ মনে করছে ভারত ◈ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল রিজার্ভ ◈ আরব আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান  ◈ অবশেষে কমল সোনার দাম ◈ মধ্যপ্রাচ্যে ক্রমবর্ধমান অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে চার সংগঠনকে সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ঘোষণা করল যুক্তরাষ্ট্র! ◈ সময়সীমা বেঁধে দিয়ে বাংলাদেশকে জাতিসংঘের চিঠি ◈ ডাকসুতে ভোট কারচুপির অভিযোগে সিসিটিভি যাচাই, উঠে এলো যে তথ্য ◈ সিলেট ইবনে সিনা হাসপাতালে হামলা-ভাঙচুর ◈ আমি যে কাজ করেছি তা দেশের ইতিহাসে কোনোদিন হয়নি : আসিফ নজরুল ◈ চট্টগ্রামে মার্কিন বিমান ও সেনা উপস্থিতি নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা, আসলে কী ঘটছে

প্রকাশিত : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৫:০৫ সকাল
আপডেট : ১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৫:০৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পরকালবিমুখ হলে ধ্বংস অনিবার্য

ইসলাম ডেস্ক: মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘সুতরাং যে ব্যক্তি কিয়ামতে বিশ্বাস করে না এবং নিজ প্রবৃত্তির অনুসরণ করে, সে যেন পরকালে বিশ্বাস স্থাপন থেকে তোমাকে কখনো বাধা দিতে না পারে। এমনটি করলে তুমি ধ্বংস হয়ে যাবে।’ (সুরা : ত্বহা, আয়াত : ১৬)। কালের কণ্ঠ

তাফসির : আগের আয়াতে বলা হয়েছিল, কিয়ামত অবশ্যই কায়েম হবে। কিন্তু বিশেষ হিকমতে কিয়ামত সংঘটিত হওয়ার সময় গোপন রাখা হয়েছে। আলোচ্য আয়াতে এই মর্মে সতর্ক করা হয়েছে যে সমাজে কিছু এমন থাকতে পারে, যারা পরকালে বিশ্বাস করে না। কিন্তু তারা যেন কিছুতেই বিশ্বাসী মানুষকে পরকালের বিশ্বাস থেকে নিবৃত্ত করতে না পারে। কেননা পরকালবিমুখ হলে কিংবা পরকাল সম্পর্কে উদাসীন হলে ধ্বংস অনিবার্য। এই আয়াতের সম্বোধিত ব্যক্তি মুসা (আ.)। তাঁর মাধ্যমে তাঁর উম্মতকে এবং কোরআনে উল্লেখ করার মাধ্যমে মুহাম্মদ (সা.)-এর উম্মতকে সতর্ক করা হয়েছে যে পরকালের বিশ্বাস থেকে দূরে সরে গেলে ধ্বংস অনিবার্য।

পরকালের বিশ্বাসের মূল কথা হলো, মৃত্যুর পর পুনর্জীবিত হওয়া। মানুষ দুনিয়ায় যেসব কাজ করেছে, মহান আল্লাহ কিয়ামতের দিন সেসব কর্মের হিসাব নেবেন। মিজান বা পাল্লায় আমলগুলো ওজন করা হবে। যার বদ আমলের চেয়ে নেক আমলের পাল্লা ভারী হবে, সে জান্নাতি হবে। যার নেক আমলের চেয়ে বদ আমলের পাল্লা ভারী হবে, সে জাহান্নামি হবে। মহান আল্লাহ বলেন, ‘অতঃপর যার ডান হাতে আমলনামা দেওয়া হবে, অচিরেই তার হিসাব-নিকাশ সহজ করা হবে। সে তার পরিবারের সদস্যদের কাছে সন্তুষ্টচিত্তে ফিরে যাবে। কিন্তু যার আমলনামা তার পিঠের পেছনের দিক থেকে দেওয়া হবে, সে শিগগিরই মৃত্যুকে ডাকবে এবং সে উত্তপ্ত জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা : ইনশিকাক, আয়াত : ৭-১২)

পরকালের বিশ্বাস মানুষকে মানবিক গুণাবলির উৎকর্ষ সাধনে সাহায্য করে। পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠতে সহায়তা করে। পরকালে বিশ্বাসী ব্যক্তি ভোগ-বিলাসিতার পরিবর্তে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়। তাকে যেকোনো কাজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে পার্থিব লাভ-ক্ষতি হিসাবের আগে ভাবতে হয় সে কাজের পরকালীন পরিণতির কথা। আল্লাহর ভয় তাকে তাড়িত করে, সর্বদা ভীতসন্ত্রস্ত করে রাখে। ইরশাদ হয়েছে, ‘অতঃপর কেউ বিন্দু পরিমাণ সৎ কাজ করলে সে তা দেখতে পাবে। আর কেউ বিন্দু পরিমাণ পাপাচার করলেও সে তা দেখতে পাবে।’ (সুরা জিলজাল, আয়াত : ৬-৭)

পরকালের বিশ্বাস মানুষকে দায়িত্বনিষ্ঠ করে। এ বিশ্বাস অপরাধমুক্ত পৃথিবী গঠনে সহায়ক। পরকাল সম্পর্কে যারা উদাসীন, তারা নির্দ্বিধায় যেকোনো পাপ কাজ করতে পারে। পবিত্র কোরআনের বহু আয়াতে এ বিষয়ে বর্ণনা করা হয়েছে। এক আয়াতে আল্লাহ বলেন, ‘মানুষের হিসাব-নিকাশ অতি কাছে। অথচ তারা উদাসীনতায় মুখ ফিরিয়ে আছে।’ (সুরা : আম্বিয়া, আয়াত : ১)। যারা ইন্দ্রিয়ানুভূতির গণ্ডি অতিক্রম করতে চায় না, তারা পরকালে বিশ্বাস করে না। পার্থিব জীবন তাদের একমাত্র জীবন। তাদের জীবন পাপ ও পঙ্কিলতায় ভরপুর।

গ্রন্থনা : মুফতি কাসেম শরীফ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়