মাসুদ আলম: [২] সোমবার ভোরে রাজধানীর পল্লবী থানার বাইতুন নুর জামে মসজিদ এলাকা থেকে এলাকা থেকে মফিজুর রহমান মামুনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেষ্টিগেশন বিভাগ।
[৩] তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, খুন,মাদক, অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যাবহার ও ডাকাতির অভিযোগে পল্লবী থানায় ২৭টি মামলা, ১৫ টি গ্রেফতারী পরোয়ানা ও ২ টি সাজা পরোয়ানার তথ্য পাওয়া যায়।
[৪] মামুন এক সময়ে মিরপুরের আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ করতেন। সে ২০০১ সালে কিছুদিন কারাভোগের পর ২০০৪ সালে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত গমন করে। পাসপোর্ট জালিয়াতি ও অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০০৮ সালে ভারতে গ্রেপ্তার হয় এবং ১০ বছর সাজা ভোগ করে। কারাভোগ শেষে ভারতে বসেই মামুন বিদেশে অবস্থানরত মিরপুরের অপর শীর্ষ সন্ত্রাসী ইব্রাহিম ও সাহাদাত বাহিনীর প্রধান সাহাদাতের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ ও সমম্বয়ের মাধ্যমে ঢাকার মিরপুর এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করার জন্য তৎপর হয়। মামুন বিভিন্ন সময়ে প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীদের ফোন করে প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে চাঁদা দাবি করতো। অপরাধজগতে তার অবস্থানকে সুসংহত করতে স¤প্রতি সে ভারত থেকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে।
[৫] তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, রাষ্ট্রবিরোধী একটি সন্ত্রাসী চক্র টার্গেট কিলিং ও ব্যাপক সহিংসতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করার উদ্দেশ্যে চোরাবাজার থেকে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্থ সংগ্রহের চেষ্টা করছে এমন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :