লিহান লিমা: [২] চীনের মহাকাশযান ‘তিয়ানওয়েন-১’ মঙ্গলের কক্ষপথের ২২ লক্ষ কিলোমিটার (১৪ লক্ষ মাইল) দূরত্বে থেকে মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের ‘স্কিয়াপ্যারেল্লি ক্রেটার’ (সুবিশাল গর্ত) আর গিরিখাতে ভরা এলাকা ‘ভ্যালেস মারিনেরিস’-এর কয়েকটি ছবি পাঠিয়েছে। গার্ডিয়ান
[৩]চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, তিয়ানওয়েন-১ এই মুহূর্তে মঙ্গলের কক্ষপথ থেকে ১১ লক্ষ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। আগামী ১০ ফেব্রæয়ারি একটি ল্যান্ডার ও একটি রোভার নিয়ে তিয়ানওয়েন-১ মঙ্গলের কক্ষপথে প্রবেশ করবে। আগামী মে মাসে মঙ্গলের ‘ইউটোপিয়া’ এলাকায় অবতরণ করবে ৫টন ওজনের তিয়ানওয়েন-১। এটি ৯০ মঙ্গল-মাস, অর্থাৎ পৃথিবীর হিসেবে তিন মাসেরও বেশি সময় মঙ্গলের ভূপৃষ্ঠের তথ্য ও নমুনা সংগ্রহ করবে।
[৪]গত জুনে চীনের অ্যাকাডেমি অফ সায়েন্সেস-এর গবেষক বাও ওয়েইমিন বলেছিলেন , ‘অভিযানের কঠিনতম পর্ব হল মঙ্গলগ্রহে অবতরণ করা। রোভার বহনকারী ল্যান্ডারের গতি চার ধাপে মন্থর করা হবে। এই প্রক্রিয়া ৭-৮ মিনিট ধরে চলবে।’
[৫]মহাকাশে মঙ্গল অভিযান সবসময়ই চ্যালেঞ্জিং ছিলো। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, ইউরোপ, জাপান ও ভারতের কয়েকটি মঙ্গল অভিযান ব্যর্থ হয়। এর আগে ২০১১ সালে চীনের প্রথম মঙ্গল অভিযান ‘ইয়িংঘুও-১’ ব্যর্থ হয়েছিলো।
[৬]২০০৩ সালে সর্বপ্রথম মহাকাশে মহাকাশচারী পাঠায় চীন। ২০২২ সালে চীন পৃথিবীর কক্ষপথে তাদের স্পেস স্টেশনও গড়ে তুলতে যাচ্ছে। চাঁদেও ইতোমধ্যেই দুইটি রোভার অবতরণ করিয়েছে চীন। এর মধ্যে একটি চাঁদের বিরল পৃষ্ঠদিকে, যেখানে পূর্বে আর কোনো মহাকাশযান অবতরণ করে নি।