রাশিদুল ইসলাম : [২] ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় কংগ্রেসের উপ- নেতা আনন্দ শর্মা প্রেসিডেন্টের অভিভাষণের ওপর আলোচনার সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করে বলেছেন, নয়া তিনটি কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বহু কৃষক যখন আন্দোলন করছেন, তখন প্রেসিডেন্ট সংসদে ওই আইনের প্রশংসা করছেন, এটা দুর্ভাগ্যজনক! টাইমস অব ইন্ডিয়া/পারস
[৩] আনন্দ শর্মা বলেন, ‘কৃষকদের নিজেদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করতে বাধ্য করা হয়েছে এবং যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে সেজন্য কেন্দ্রীয় সরকার দায়ী। কৃষক আন্দোলনের মধ্যে প্রজাতন্ত্র দিবসে লালকেল্লার ঘটনায় গোটা দেশবাসী ব্যথিত। তিনি বলেন, ওই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। দেশে বিষম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে বাধ্য করেছে।
[৪] তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্টের অভিভাষণ সরকারের হতাশাজনক প্রশংসাপত্র। ওই অভিভাষণে অনাবশ্যকভাবে তিনটি কৃষি আইনের উল্লেখ করা হয়েছে যা দুর্ভাগ্যজনক। সরকার যা লিখে দেয় প্রেসিডেন্ট সেটাই পড়েন। একদিকে কৃষক আন্দোলন চলছে অন্যদিকে সংসদে কৃষি আইনের প্রশংসা হচ্ছে, এরচেয়ে দুঃখের কথা আর কী হতে পারে!’
[৫] আনন্দ শর্মা বলেন, ‘প্রেসিডেন্টর অভিভাষণে পররাষ্ট্রনীতি নিয়েও আলোচনা নেই। শর্মা জিজ্ঞাসা আমরা কী বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছি? এমনকি প্রতিবেশীদের নিয়েও আলোচনা নেই। শর্মা বলেন, লকডাউনে ট্রেন চলেনি, বাস চলেনি। কয়েক লাখ মানুষকে হেঁটে যেতে হয়েছিল। রেলওয়ে স্টেশনে এক শিশু তার মৃত মায়ের কম্বল সরিয়ে নিচ্ছিল, এ কথারও উল্লেখ নেই। আমি এর নিন্দা করছি।
[৬] তিনি বলেন জনগণের কথা শোনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু বিক্ষোভ প্রদর্শনকে আপনারা অপরাধ বলে অভিহিত করছেন। কৃষকদের উপরে নিপীড়ন হলে গোটা দেশ তাদের পাশে দাঁড়াবে সরকারের এ কথা ভুলে যাওয়া উচিত নয়’ বলেও কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা মন্তব্য করেন।