দেবদুলাল মুন্না:[২] এ তথ্য বিবিসির। গত সোমবার ভোরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানে রাষ্ট্রপতি উইন মিন্ট ও অং সান সু চিসহ তাদের দলের নেতাদের গ্রেফতার করা হয়। সু চির দলের এক এমপি বিবিসিকে বলেন, আমাদের দুশ্চিন্তা না করতে বলা হয়েছে। তবে আমরা চিন্তিত। তাদের বাড়িতে থাকার ছবি যদি আমরা দেখতে পেতাম তাহলে স্বস্তি পেতাম।
[৩] এবিসি নিউজকে মিয়ানমারের এক কুটনীতিক জানিয়েছেন,সুচির বাসা থেকে ইন্টারনেট কানেকশন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তার বাসা থেকে সেলফোন জব্দ করা হয়েছে। যাতে তিনি কারো সাথে যোগাযোগ না করতে পারেন। কাউকেই তার বাসায় ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কেউ বাসা থেকে বেরুতেও পারছে না।
[৪] সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি এনএলডি পার্টি সোমবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তাদের নেতা অং সান সু চি জনগণকে এই সেনা অভ্যুত্থান মেনে না নিয়ে বিক্ষোভের আহ্বান জানান।
[৫] তবে গতকাল মঙ্গলবার দেশটির বৃহত্তম শহর ইয়াংগুনের রাস্তায় রাস্তায় অতিরিক্ত নিরাপত্তারও দেখা যায়নি। এর অর্থ তেমন কোন গণবিক্ষোভ না থাকায় সামরিক বাহিনী এক ধরণের স্বস্তিদায়ক অবস্থার মধ্যেই রয়েছে।
[৬] সামরিক প্রধান ও অভ্যুত্থানের নেতা মিন উং লাইং দেশ পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন। সাবেক জেনারেল মিয়ন্ট সুই ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, তারা আগামী এক বছর ক্ষমতায় থাকবে। এরপর তারা নতুন নির্বাচন দেবে।