শিরোনাম
◈ সাভারে শো-রুমের স্টোররুমে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ২ ◈ ইরানের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের নতুন নিষেধাজ্ঞা ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ চলচ্চিত্র ও টিভি খাতে ভারতের সঙ্গে অভিজ্ঞতা বিনিময় হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ উপজেলা নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার করলেই ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলা নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের

প্রকাশিত : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৬:৩০ সকাল
আপডেট : ০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১, ০৬:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

নিউইয়র্ক পুলিশে লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হলেন বাংলাদেশি শামসুল হক

ডেস্ক রিপোর্ট: নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টে (এনওয়াইপিডি) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হলেন বাংলাদেশি-আমেরিকান শামসুল হক। এনওয়াইপিডিতে গোয়েন্দা স্কোয়াডে যুক্ত হয়ে ইতিহাস গড়ার পর শামসুল হক এবার আরেকটি ইতিহাস গড়লেন। তিনি প্রথম সাউথ এশিয়ান লেফটেন্যান্ট কমান্ডার হিসেবে ২৯ জানুয়ারি শুক্রবার কুইন্সে এনওয়াইপিডির পুলিশ একাডেমিতে অভিষিক্ত হয়েছেন।

২০০৪ সালের জানুয়ারিতে শামসুল হক এনওয়াইপিডিতে যোগদান করেন। ২০১০ সালে তাকে সার্জেন্ট পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। ২০১৪ সালে লেফটেন্যান্ট পদে পদোন্নতি পাবার পর তিনি এনওয়াইপিডির অভ্যন্তরীণ বিষয়ক তদন্ত গ্রুপের দায়িত্ব নেন।
শামসুল হক যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন ১৯৯১ সালে। এখানে এসে তিনি বাসবয়, ডেলিভারিম্যান, ম্যানেজারসহ নানা চাকরি করেন। পাশাপাশি ভবিষ্যতে ভালো কিছু করার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে তিনি পড়াশোনা চালিয়ে যান।

শামসুল হক ১৯৯৭ সালে অর্জন করেন ডিপ্লোমা ডিগ্রি। পরে লাগোয়ার্ডিয়া কমিউনিটি কলেজ থেকে এএস এবং বারুখ কলেজ থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেন। বারুখ কলেজে অধ্যায়নকালে তিনি কলেজ স্টুডেন্ট গভর্ণরের চেয়ারপার্সনের দায়িত্ব পালন করেন। পরে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জনপ্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনে সিদ্ধহস্ত লেফটেন্যান্ট শামসুল হক সিলেট জেলার গোলাপগঞ্জের বাঘার গ্রামে মরহুম আবদুল মুসাব্বির এবং মরহুম নুরুন নেছা দম্পতির সন্তান। স্ত্রী রুবিনা হক ও দুই ছেলে নিয়ে তিনি নিউইয়র্কের কুইন্সে বসবাস করছেন। তার সব ভাই-বোনও নিউইয়র্কে থাকেন।

লেফটেন্যান্ট শামসুল হক জানান, ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় মুসলমানদের দোষারোপ করার পর তিনি পুলিশ বিভাগে যোগদানের সিদ্ধান্ত নেন। এনওয়াইপিডিতে যোগদানের পর বুঝতে পারেন যে, এ বিভাগে আরও বেশি সংখ্যক বাংলাদেশি-আমেরিকান প্রয়োজন। এ অভিপ্রায়েই এনওয়াইপিডিতে কর্মরতদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন ‘বাংলাদেশি আমেরিকান পুলিশ অ্যাসোসিয়েশন’ (বাপা)।

তিনি সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই সংগঠনের পথ-নির্দেশনা ও পরামর্শক্রমে এখন চার শতাধিক বাংলাদেশি এনওয়াইপিডিতে বিভিন্ন র‌্যাঙ্কে কাজ করছেন। এর বাইরে এনওয়াইপিডির অধীনে দেড় হাজারের মত ট্রাফিক এ্যানফোর্সমেন্ট এজেন্ট রয়েছেন। অর্থাৎ বিশ্বের রাজধানী হিসেবে পরিচিত এবং জাতিসংঘের এই শহরের কোনায় কোনায় কর্ত্যবরত পুলিশ এবং ট্রাফিক এজেন্টের মধ্যে বাংলাদেশীরা জাগ্রত। এভাবেই স্বপ্নের দেশ আমেরিকায় বহুজাতিক সমাজে নিজ নিজ মেধার মধ্যদিয়ে বাংলাদেশীরাও বিশেষ একটি অবস্থানে অধিষ্ঠিত হচ্ছেন।

সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়