আব্দুল্লাহ মামুন :[২] বায়ুদূষণ বর্তমান-ভবিষ্যত প্রজন্মের জীবন ও মেধাকে বিপদের সম্মুখীন করছে, বললেন পরিবেশবিদরা।
[৩] পরিবেশবিদ আতিক রহমান বলেন, ঢাকার বায়ুদূষণের বেশির ভাগ ধুলো আসে শহরের আশেপাশের ইটভাটা থেকে। নির্মাণকাজের কারণে বাতাসে প্রচুর ধুলো যুক্ত হয়। যানবাহনে ব্যবহৃত জ্বালানির কারণে, এছাড়া নতুন একটি কারণ হলো বর্জ্য পোড়ানো, ঢাকায় এখন নানা ধরনের বর্জ্য পোড়ানো হয় এবং এটা দিন দিন বাড়ছে। শিল্প কারখানার মধ্যে সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, স্টিল রিরোলিং মিল বায়ুদূষণ করে, ক্ষুদ্র কণা ছড়ায়।
[৪] যে শিশু এখনো জন্মায়নি, জন্মাবে বা জন্মেছে, এই পিরিয়ডে যে পরিমাণ ময়লা ওই শিশুর ব্রেনে যাচ্ছে তার ফলে ব্রেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এটা হচ্ছে বায়ুদূষণের সবচেয়ে ভয়ংকর দিক । ভবিষ্যত প্রজন্মকে আমরা মেধা শূন্য করছি বায়ুদূষনের ফলে।
[৫] বায়ুদূষণ রোধে একক কোনো ভূমিকা রাখার সুযোগ নেই। রাজধানীতে মানুষের ঘনত্ব কমাতে হবে। প্রতিদিন গাছপালায় পানি দিতে হবে। বায়ুদূষণ রোধে সরকারের উদ্যোগ তেমন দৃশ্যমান নয়, এখানে সমন্বয়ের অভাব আছে। আর সচেতনতা তৈরির কাজও কার্যকরভাবে হচ্ছে না।
[৬] পরিবেশবিদ ড. আনসারুল করিম বলেন, পরিবেশ বিধ্বংসী কালো ধোঁয়া, ইট ভাটা, কলকারখানার বর্জ্য মাটি-পানিকে দূষণ করছে প্রতিনিয়ত। দিন দিন কমছে গাছপালা। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে কার্বন নির্গমন। ফলে ধীরে ধীরে বৈচিত্র্য হারাচ্ছে বাংলার ষড়ঋতু। প্রকৃতির সঙ্গে মানুষের বিরূপ আচরণের কারণেই এমনটা ঘটছে।