মহসীন কবির: [২] শনিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান কিডনি হাসপাতাল পরিদর্শনে শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। ডিবিসি ও ৭১ টিভি
[৩] তিনি বলেন, কুর্মিটোলা হাসপাতালে এদিন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২০-২৫ জনকে টিকা দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে। প্রথম দেওয়া হবে একজন নার্স কে। ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
[৪] এ সময় সচিব বলেন, ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার তিন কোটি ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি করেছি আমরা। এরই মধ্যে ভারত আমাদের ২০ লাখ ডোজ ভ্যাকসিন উপহার দিয়েছে। এর মধ্যে আমাদের কেনা আরও ৫০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে চলে আসবে। ২৭শে জানুয়ারি থেকে আমরা কার্যক্রম শুরু করব।
[৫] বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের টিকার তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল করতে যাচ্ছে আনুই জিফেই নামের একটি চীনা প্রতিষ্ঠান। সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের সিদ্ধান্তের পর চলতি মাসের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) টিকা পরীক্ষার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়ে আনুই জিফেইকে চিঠি দেয়। বিএসএমএমইউর উপাচার্য কনক কান্তি বড়ুয়া গতকাল বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা আনুই জিফেইয়ের সঙ্গে গবেষণায় যুক্ত হওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানিয়ে চিঠি দিয়েছি।
[৬] আমরা গবেষণা প্রটোকল (পরীক্ষাবিধি) তৈরি করছি। আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে প্রটোকল চূড়ান্ত হবে। তাদের সঙ্গে ট্রায়াল সংক্রান্ত বিষয়ে যোগাযোগ হচ্ছে।’ গত বৃহস্পতিবার ভারত থেকে উপহার হিসেবে এসেছে ২০ লাখ ডোজ টিকা। এগুলো রাজধানীর তেজগাঁও ইপিআই স্টোরে সংরক্ষণ করা হয়েছে। আগামী ২৫ জানুয়ারি দেশে এসে পৌঁছাবে সরকারের কেনা ৫০ লাখ ডোজ টিকা। এই ৭০ লাখ মিলিয়ে ২৭ জানুয়ারি কার্যক্রম শুরুর পরিকল্পনা করছে সরকার। এরপর পর্যবেক্ষণমূলক হিসেবে ঢাকার চার হাসপাতালের ৪০০-৫০০ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে টিকা দেওয়া হবে।
[৭] আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সারা দেশে টিকা কর্মসূচি শুরুর পরিকল্পনা করছে সরকার। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আবদুল মান্নান বলেন, ২৭ কিংবা ২৮ জানুয়ারি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ২০-২৫ জন মানুষকে টিকা দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল থেকে কর্মসূচি শুরু হতে পারে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যোগ দেবেন। ব্যাপকভাবে টিকাদান শুরুর আগে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল ও বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৪০০-৫০০ জনকে টিকা দিয়ে সাত দিন পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।