শিমুল মাহমুদ: [৩] বৃহস্পতিবার দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠানিভাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের হাতে পৃথকভাবে করোনার টিকার দুটি বক্স তুলে দেন ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী।
[৪] ভ্যাকসিন হস্তান্তরের পর তিনি বলেন, ভারত সবার আগে প্রতিবেশিকে গুরুত্ব দেয়। যে কারণে গত শনিবার ভারতে করোনার ভ্যাকসিন আসার চারদিনের মধ্যে বাংলাদেশকে বন্ধুত্বের উপহার হিসেবে ২০ লাখ ডোজ পাঠিয়েছে। এই ভ্যাকসিন বাংলাদেশকে এখন থেকে করোনা মোকাবিলায় সহায়তা করবে। বাংলাদেশ এখন থেকে টিকাদান শুরু করতে পারবে।
[৫] তিনি বলেন, বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় ভারত তার পরীক্ষিত এই বন্ধুকে বেশি পরিমাণে টিকার ডোজ পাঠিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সামনের দিনগুলোতে দুই দেশের সম্পর্ক আরও শক্তিশালী হবে।
[৬] স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক বলেন, ভারত করোনা টিকা দিয়ে বন্ধুত্বের নতুন উদাহরণ সৃষ্টি করল। ভারত থেকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আগামীতে মোট ৩ কোটি ডোজ টিকা আসবে। যার মধ্যে ৫০ লাখ ডোজ টিকা ঢাকায় আসার প্রক্রিয়ায় আছে। এছাড়া প্রতি ৬ মাসে ৫০ লাখ ডোজ টিকা আনার পরিকল্পনা করেছে বাংলাদেশ।
[৭] পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, আমরা দুর্বল হলেও বিশ্বের মধ্যে করোনা মোকাবিলায় সফল হয়েছি। সফল হতে আমাদের বন্ধু দেশগুলো সহায়তা করছে। আজকের দিনটি আমাদের জন্য ঐতিহাসিক। আমাদের পরীক্ষিত বন্ধু ভারত করোনা ভ্যাকসিন উপহার দিয়ে আবারও উদারতার পরিচয় দিয়েছে।
[৮] এর আগে টিকা নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ বেলা ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। বিমানবন্দরে টিকা বুঝে নিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একজন উপপরিচালকের নেতৃত্বে একটি দল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তারাও।
[৯] এরপর বিমানবন্দর থেকে দুটি ফ্রিজার ভ্যানে করে টিকার বাক্স নিয়ে যাওয়া হয় তেজগাঁওয়ে ইপিআই স্টোরেজে। ‘ভ্যাকসিনমৈত্রীর’ আকাশী রঙের ব্যানারে ঢাকা সেই ভ্যানের গায়ে আঁকা ছিল দুই দেশের পতাকা, লেখা ছিল- ‘ভারতীয় জনগণের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের জনগণের জন্য উপহারস্বরূপ ভারতে উৎপাদিত ২০ লাখ ডোজ কোভিড ভ্যাকসিন।
[১০] ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে করোনার টিকাদান কর্মসূচি শুরু হবে বলে জানান, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বৃহস্পতিবার দুপুরে আজিমপুরে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের জাতীয় জনসংখ্যা গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (নিপোর্ট) ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু