হ্যাপি আক্তার: [২] রাম মন্দিরের জন্য চাঁদা সংগ্রহে এবার উদ্যোগী অক্ষয়। ”রাম মন্দিরের জন্য অনুদান দিন, অযোধ্যায় ঐতিহাসিক রাম মন্দির বানাতে সাহায্য করুন।” এমন অনুরোধই করতে শোনা গেল অক্ষয় কুমারকে। নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে রামায়ণের গল্প শুনিয়ে সকলকে উৎসাহিত করার চেষ্টা করলেন। জিনিউজ২৪
[৩] নিজের ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি নিজের টুইটার হ্যান্ডলে একটি ভিডিও পোস্ট করলেন ৫৩ বছর বয়সী এ অভিনেতা। সেখানে তাকে বলতে শোনা যায়, ‘খুবই আনন্দের কথা অযোধ্যায় শ্রীরামের মন্দিরের নির্মাণকাজ শুরু হচ্ছে। এবার আমাদের যোগ দেওয়ার পালা। আমি শুরু করেছি। আশা করি, আপনারাও যোগ দেবেন। জয় সিয়ারাম।’
[৪] তিনি বলেন, রাম সেতু বানাতে ছোট্ট কাঠবিড়ালিরও অবদান ছিল। যে সেতু দিয়ে শ্রীরাম লঙ্কায় পৌঁছেছিলেন। এই কাঠবিড়লির গল্পই সকলকে রামসেতুর জন্য অনুদান দিতে উৎসাহিত করবে।
[৫] অক্ষয় বলেন, ”অযোধ্যায় রাম মন্দির তৈরির কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। আমাদের মধ্যে থেকেই কেউ বানর, কেউ কাঠবিড়ালি হয়ে নিজেদের মত করে এই ঐতিহাসিক রামমন্দির বানানোর কাজে যোগ দিন। আমি যোগ দিয়েছি, আমার বিশ্বাস আপনারাও আমার সঙ্গে যোগ দেবেন।”
बहुत खुशी की बात है कि अयोध्या में हमारे श्री राम के भव्य मंदिर का निर्माण शुरू हो चूका है…अब योगदान की बारी हमारी है l मैंने शुरुआत कर दी है, उम्मीद है आप भी साथ जुड़ेंगे l जय सियाराम 🙏🏻 pic.twitter.com/5SvzgfBVCf
— Akshay Kumar (@akshaykumar) January 17, 2021
[৬] অযোধ্যায় রামমন্দির বানানোর কাজে অনুদান দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ। দেশেটির মোট ৫২ লাখ ৫হাজার গ্রাম থেকে ফান্ড সংগ্রহ করা হচ্ছে। যে ফান্ড রামমন্দির তৈরির কাজে তুলে দেয়া হবে।
[৭] উল্লেখ্য, অযোধ্যার বিখ্যাত মোঘল স্থাপনা বাবরি মসজিদ ভাঙ্গা হয়েছে ১৯৯২ সালে। এরপর এই মসজিদ ইস্যু নিয়ে ভারতে একাধিকবার সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় প্রাণহানি হয়েছে বহু মানুষের। বিতর্কিত ধর্মীয় স্থানটিতে একটি রাম মন্দির বানানোর পক্ষেই রায় দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট।
[৮] ২০১৯ সালের নভম্বরে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের বেঞ্চ এক সর্বসম্মত রায়ে বলেছে, অযোধ্যার যে ২.৭৭ একর জমি নিয়ে বিতর্ক ছিল বহুকাল ধরে সেখানে রামমন্দিরই হবে। আর মুসলমানদের মসজিদের জন্য ৫ একর জমি দেওয়ার নির্দেশও দেয়া হয়।
[৯] সে রায় অনুযায়ী বাবরি মসজিদের স্থানে শুরু হয়েছে রাম মন্দির নির্মাণের কার্যক্রম। চলছে অযোধ্যায় রামমন্দির নির্মাণের জন্য চাঁদা সংগ্রহ। প্রথম দিনই রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ রাম মন্দির ট্রাস্টের হাতে তুলে দিয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা।