খান আসাদ : ট্রাম্পকে পুঁজিবাদী লিবারেল মিডিয়া প্রায় পাগল হিসেবে চিত্রিত করছে। আর পুরো সহিংসতার ব্যাপারটা যেন সাদাশ্রেষ্ঠত্ববাদীদের ‘অহংকার’ নিয়ে। ট্রাম্প যে ক্ষমতায় থাকার জন্য মরিয়া ছিলো, এর কারণ কিন্তু তার ব্যক্তিগত কোনো পাগলামি নয়। কিংবা সাদাশ্রেষ্ঠত্ববাদীদের অহংকার রক্ষার দায়ও ট্রাম্পের ছিলো না। তাহলে কী ছিলো ট্রাম্পের আরও এক টার্ম ক্ষমতায় থাকার পেছনে? প্রশ্নটা যদি এভাবে করেন, ‘কে টাকা দিয়েছিলো এবং কারা লাভবান হতে চেয়েছিলো?’ তাহলে মনে হয় উত্তর পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় টার্মে ট্রাম্পকে ক্ষমতায় রাখার জন্য, ‘ট্রাম্প ভিক্টরি ফান্ড’ নামে একটি ফান্ড তৈরি করা হয়েছিলো। গত দুই বছরে ৩৩ মিলিয়ন ডলার ‘চাঁদা’ উঠেছে। এই ‘চাঁদা’ দিয়েছেন ৬৩ জন বিলিয়নিয়ার। তারা হচ্ছেন তারাই যারা ২০১৭ সালেই তাদের ব্যবসা ও ব্যক্তিগত ট্যাক্স কাটের ফলে আরও বড়লোক হয়েছেন। তারাই ট্রাম্পকে আরও একটার্ম ক্ষমতায় রাখতে চেয়েছিলেন। ট্যাক্স কাটের সুবিধা নিতে। আরও বড়লোক হওয়ার প্রত্যাশায়।
আমরা রাজনীতির যে নাটক দেখি, সেই নাটকের পেছনে অর্থনীতির একটি ভূমিকা থাকে। রাজনৈতিক নাটক বুঝতে হলে ব্যক্তির বদলে, সিস্টেম বুঝতে হবে। কারা কারা ওই সিস্টেম থেকে লাভবান হয়, তাদের দিকে দৃষ্টি দিতে হবে। মঞ্চে, যারা অভিনয় করে, তাদের পেছনে থাকে পরিচালক প্রয়োজকেরা, পর্দার আড়ালে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও এই কথা সত্য। ব্যক্তির জবাবদিহিতা থাকা না থাকা একটি ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে। আর ব্যবস্থা টিকে তাকে কারণ একটি শক্তিশালী গোষ্ঠী ওই ব্যবস্থায় যারা লাভবান হয়, তারা টিকিয়ে রাখতে চায়। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :