সমীরণ রায়: [২] রোববার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন আয়োজিত এক মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, করোনার অজুহাতে গার্মেন্টস শিল্পের শ্রমিকদের বার্ষিক শতকরা ৫ ভাগ মজুরি বৃদ্ধি স্থগিতের জন্য সরকারের কাছে বিকেএমই এবং বিজিএমইএ আবেদন করেছে। এই করোনাকালে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে শিল্প মালিকরা অনুদান দিয়ে করোনা আক্রান্ত শ্রমিক-কর্মচারীদের মজুরি নিশ্চিত করেছে।
[৩] তারা বলেন, আমাদের দেশে গার্মেন্টস মালিকরা শুধু শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে সরকার থেকে ৯ হাজার ১৮৮ কোটি টাকা পাওয়ার পরও প্রণোদনাপ্রাপ্ত পোশাক কারখানা থেকে কয়েক লাখ শ্রমিক ছাঁটাই করেছেন। এখন আবার তারা ৫ শতাশ ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করার জন্য এই বেআইনি, অনৈতিক ও অমানবিক আবেদন করেছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না।
[৪] তারা আরও বলেন, করোনার আগে এই শ্রমিকরাই ৩.৪ বিলিয়ন ডলার আয় করে দিয়েছেন মালিকদের। তখন তো মালিকরা সে আয় থেকে শ্রমিকদের একটি পয়সাও বেশি দেয়নি। এখন কেন করোনার অজুহাতে এই তালবাহানা? গার্মেন্টস মালিকরা সুযোগ পেলেই পুরো শিল্পের কথা না ভেবে শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য নানা অজুহাতে সুযোগের অসৎ ব্যবহার করে গরিব শ্রমিকের পেটে লাথি মারেন।
[৫] এতে আরও উপস্থিত ছিলেন গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের সভাপতি মোশরেফা মিশু, গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির সভাপতি তাসলিমা আক্তার, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ইসমাঈল প্রমুখ।