শিরোনাম
◈ তহবিল সংকটে জাতিসংঘের সিদ্ধান্ত: ১,৩১৩ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী ফিরছে দেশে ◈ ভার‌তের উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্তদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন ‌লিও‌নেল মেসি! ◈ রাশিয়াকে দুর্বল কর‌তে জাপান‌কে তেল কেনা বন্ধ কর‌তে ব‌লে‌ছে আ‌মে‌রিকা ◈ যৌন কে‌লেঙ্কা‌রির অ‌ভি‌যো‌গে চাকরি যেতে চলেছে ইংল্যান্ডের কোচ ক‌লিংউ‌ডের ◈ তা‌মিম ইকবাল মালয়েশিয়ার টি-টোয়েন্টি লিগে মেন্টরের দায়ি‌ত্বে থাক‌বেন ◈ মিরপু‌রের চেয়েও ও‌য়েস্ট ই‌ন্ডি‌জের গায়ানায় বাজে উইকেটে খেলেছি: রিশাদ হো‌সেন ◈ সাকিব আল হাসা‌নের সঙ্গে আবুধাবি টি-টেন লিগে দল পেলেন সাইফ ও নাহিদ ◈ রেকর্ড ছোঁয়ার পর স্বর্ণের দামে বড় পতন ◈ ১৮ বছর পর বাংলাদেশ-কুয়েত পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক: বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও শ্রমবাজারে নতুন সম্ভাবনা ◈ এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের টানা অনশন, অসুস্থ বহু শিক্ষক

প্রকাশিত : ১৫ জানুয়ারী, ২০২১, ০৫:৩২ সকাল
আপডেট : ১৫ জানুয়ারী, ২০২১, ০৫:৩২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পেটে পাথর বেঁধে মুসলমানরা সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দিন: মাওলানা আরশাদ মাদানী

ডেস্ক রিপোর্ট : জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা সাইয়েদ আরশাদ মাদানী বলেছেন, আমাদের এখন এমন সব স্কুল প্রয়োজন যেখানে আমাদের দ্বীনী স্বকীয়তা বজায় রেখে আমাদের সন্তানরা দুনিয়াবি শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জমিয়তে উলামায়ে হিন্দের সভাপতি মাওলানা আরশাদ মাদানী ২০২১-২২২২ সালের জন্য শিক্ষাবৃত্তি ঘোষণা করেছেন।

এ সময় তিনি বলেন, আমাদের এ ছোট্ট প্রচেষ্টাটি অনেক মেধাবী ও পরিশ্রমী সন্তানের ভবিষ্যত উজ্জ্বল করতে পারে, যারা আর্থিক অসুবিধার কারণে তাদের পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রচণ্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছে।

মাওলানা মাদানী বলেন, ভারতজুড়ে এখন যে ধরণের ধর্মীয় ও আদর্শিক যুদ্ধের সূচনা হয়েছে, তার মোকাবেলা কোনও অস্ত্র বা প্রযুক্তির মাধ্যমে করা সম্ভব নয়; বরং এই যুদ্ধ জয়ের একমাত্র উপায় আমাদের নতুন প্রজন্মকে শিক্ষিত করে এমনভাবে যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা যে, তারা নিজেদের জ্ঞান এবং প্রতিভার অস্ত্র দিয়ে এই আদর্শিক যুদ্ধে প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে সক্ষম হয়। যাতে তারা সাফল্যের সেই গন্তব্যসমূহে পৌঁছাতে পারে, যেখান পর্যন্ত রাজনৈতিকভাবে আমাদের পৌঁছানো কঠিন থেকে কঠিন করে তোলা হয়েছে।

মাওলানা মাদানী বলেন, ভারতের স্বাধীনতা পরবর্তী সমস্ত সরকার মুসলমানদেরকে একটি সুনির্ধারিত পলিসির আওতায় শিক্ষাঙ্গন থেকে বাইরে রেখেছে। সাচার কমিটির প্রতিবেদন এর প্রমাণ। এতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, মুসলমানরা শিক্ষাক্ষেত্রে দলিতদেরও পেছনে রয়েছে।

মাওলানা মাদানী জিজ্ঞাসা করেন, এটি কি এমনি এমনি ঘটেছে, না মুসলমানরা জেনে-বুঝে শিক্ষা থেকে দূরত্ব অবলম্বন করেছে? তিনি বলেন, এরকম কিছুই ঘটেনি; বরং ভারতের ক্ষমতায় আসা সমস্ত সরকারই আমাদেরকে শিক্ষাগত পশ্চাৎপদ অবস্থায় রেখেছে। তারা সম্ভবত বুঝতে পেরেছিল যে, মুসলমানরা যদি শিক্ষার ক্ষেত্রে এগিয়ে যায় তবে তারা তাদের যোগ্যতা এবং প্রতিভা নিয়ে সর্বোচ্চ পদগুলোতে আসীন হয়ে যাবে। এভাবে সকল প্রকার কূটকৌশল ও প্রতিবন্ধকতার মধ্য দিয়ে মুসলমানদেরকে শিক্ষার জাতীয় মূলধারা থেকে বিচ্ছিন্ন করার অপচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়।

তিনি জোর দিয়ে বলেন, এখন সময় এসেছে, মুসলমানদের পেটে পাথর বেঁধে তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করার। আমাদের এমন সব স্কুল ও কলেজের ভীষণ প্রয়োজন, যেখানে আমাদের ধর্মীয় পরিচয়সহ আমাদের সন্তানরা কোনও বাধা বা বৈষম্য ছাড়াই উচ্চশিক্ষা অর্জন করতে পারে। অবস্থা বিবেচনায় এখন মুসলমানদের নেতৃত্বের বদলে তাদের মধ্যে শিক্ষা অর্জনের স্পৃহা গড়ে তোলার জরুরি প্রয়োজন।

তিনি ভারতের প্রভাবশালী মহলের প্রতি আবেদন করে বলেন, যাদেরকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দান করেছেন তারা এধরনের স্কুল প্রতিষ্ঠা করুন। যেখানে সন্তানরা নিজের দ্বীনী স্বকীয়তা বজায় রেখে সহজে উত্তম শিক্ষা অর্জন করতে পারে। প্রতিটি শহরে কয়েকজন মুসলিম মিলে কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে পারেন।

“দুর্ভাগ্যক্রমে, ভারতের মুসলমানরা, বিশেষ করে উত্তর ভারতের ধনী মুসলমানরা, এই মুহূর্তে আমাদের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয়টির দিকে মনোযোগ দিচ্ছেন না। আজ মুসলমানদের অন্যান্য বিষয়ে খরচ করার আগ্রহ তো আছে; কিন্তু শিক্ষার দিকে তাদের মনোযোগ নেই। এটা আমাদের ভালোভাবে বুঝতে হবে যে, দেশের বর্তমান পরিস্থিতির মোকাবেলা শুধু এবং শুধু শিক্ষার মাধ্যমেই করা সম্ভব।’’- বলেন তিনি।

তিনি বলেন, একই উদ্দেশ্যে জমিয়তে উলামায়ে হিন্দ বহু বছর ধরে অভাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি দেওয়ার ব্যবস্থা করে চলেছে। যাতে মেধাবী এবং প্রতিভাবান শিক্ষার্থীরা দারিদ্র্যের কারণে শিক্ষার হাত থেকে বঞ্চিত না হয়।

মাওলানা মাদানী বলেন, ২০২১-২০২২ সালের বৃত্তি ফর্ম পূরণের তারিখ ৩০ জানুয়ারী ২০২১ থেকে আপলোড করা হবে। ফর্মটি www.jamiatulamaihind.com ওয়েবসাইট থেকে আপলোড করা যাবে। তিনি আরও ব্যাখ্যা করেছেন যে, যেসব শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল, জার্নালিজম নিয়ে পড়াশোনা করছে, অথবা যে কোনও প্রযুক্তিগত বা প্রফেশনাল কোর্স করছে এবং পূর্ববর্তী পরীক্ষায় যারা কমপক্ষে ৭০ পার্সেন্ট নম্বর পেয়েছে, তারা বৃত্তি পাওয়ার যোগ্য হবে।

ভাষান্তর: সাইফ নূর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়