হারুন-অর-রশীদ: [২] সন্তানদের আহারের খোঁজে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন ফাতেমা (৩৫) নামের এক গৃহবধু। এদিকে সেই খাবারের অপেক্ষায় ছিল ফাতেমার ঘরে থাকা তিন ছেলে-মেয়ে। সারাদিন পর সন্ধ্যা ঘনিয়ে নেমে আসে রাত মায়ের অপেক্ষায় কাটছিল তাদের প্রতিটি মুহুর্ত। সকাল থেকে পুরোটা দিন না খেয়েই ঘুমিয়ে পড়েন তারা।
[৩] অবশেষে পরের দিন সন্ধ্যায় প্রতিবেশীদের কাছে সন্তানেরা জানতে পারে তাদের মায়ের ক্ষতবিক্ষত মরদেহটি বাড়ির পাঁশে অদূরে একটি চকের মধ্যে পড়ে রয়েছে। মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার হামিরদী ইউনিয়নের নাজিরপুর খাঁ কান্দা গ্রামে। বুধবার রাতে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গৃহবধূর মরদেহটি উদ্ধার করেন।
[৪] বৃহষ্পতিবার (১৪ জানুয়ার)ি সকালে ময়না তদন্তের জন্য তার মরদেহ ফরিদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
[৫] গৃহবধূ ফাতেমা ওই গ্রামের হাসমত মাতুব্বরের মেয়ে ও একই গ্রামের আহম্মদ আলী মাতুব্বরের স্ত্রী। সে পেশায় দিনমজুর ছিল।
[৬] পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন দিনমজুরী খেটে যা আয় রোজগার হয় তা দিয়ে বাজার-সদাই করে বাড়িতে ফিরেন এবং সন্তানদের মুখে খাবার তুলে দিতেন।
[৭] ফাতেমার মা-বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন। স্বামী থেকেও নাই কারণ সে দীর্ঘদিন যাবত নিরুদ্দেশ হয়ে ছিল। এভাবেই চলছিল ফাতেমার কষ্টের জীবন-সংসার।
[৮] ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার উপ-পরিদর্শক পিযুষ কান্তী জানান, প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে ফাতেমাকে অজ্ঞাত কে বা কাহারা হত্যা করে তার লাশ চকের মধ্যে কঁচুরী ও লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে পালিয়েছে। তার দেহে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :