শাহীন খন্দকার: [২] কমিশনের পরিচালক আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর জানান, বিএসএমএমইউতে রওশন আরা নামের এক নারীর কিডনি প্রতিস্থাপনের কথা বলে তা কেটে ফেলার কারণেই তার প্রাণহানি ঘটে বলে জাতীয় কমিশনের তদন্ত প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।
[৩] তদন্ত কমিটি দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান দুলাল ও তার সহকারী চিকিৎসক ফারুক হোসেন এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদের বিরুদ্ধে একই সুপারিশ করা হয়েছে। শাহবাগ থানার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ এনে বিভাগীয় শাস্তির সুপারিশ করা হয়েছে ।
[৪] এদিকে এই ঘটনাকে সুয়োমোটো অভিযোগ (অভিযোগ নম্বর ৩০/৩২০) হিসেবে আমলে নেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। এই প্রেক্ষাপটে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গত ২৪ নভেম্বর দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।তদন্ত শেষে কমিটি সম্প্রতি আদালতে তাদের মতামত ও সুপারিশ জমা দিয়েছেন।
[৫] ২০১৮ সালের ৩১ অক্টোবর রওশন আরা নামের ওই রোগীর ক্ষতিগ্রস্ত একটি কিডনি অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে অপসারণ করতে গিয়ে ‘পরিকল্পিতভাবে’ দুটি কিডনি অপসারণের পর রোগীর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ঘটনার দুই বছর পর ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেয়ে রওশন আরার ছেলে চলচ্চিত্র নির্মাতা রফিক সিকদার বিএসএমএমইউয়ের চার চিকিৎসককে আসামি করে রাজধানীর শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।
আপনার মতামত লিখুন :