রাশিদুল ইসলাম : [২] ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন গত বছর মার্চে দেওয়া জাতীয় লকডাউন তৃতীয়বারের মত আরোপ করে বলেছেন, মিউট্যান্ট কোভিডের স্ট্রেইন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। এ ভাইরাস ৫০ থেকে ৭০ শতাংশে সংক্রমণযোগ্য। অতএব ‘ঘরে অবস্থান করুন, এনএইচএস রক্ষা করুন, জীবন বাঁচান’। ডেইলি মেইল
[৩] জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে বরিস বলেন সারাদেশে অপ্রয়োজনীয় দোকানপাট, হোটেল রেস্তোরাঁ সহ সমস্ত আতিথেয়তা, জিম, সুইমিংপুল ইত্যাদি বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। স্কুল, কলেজ আগামী হাফটার্ম (ফেব্রুয়ারী) পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বাড়িতে থাকতে এবং দূর থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া কাউকে ঘর থেকে বের হতে নিষেধ করা হয়েছে। বয়স্কদের ঘরে বা শেল্টার হাউজে থাকতে বলা হয়েছে। উদ্বাস্তু লোকদের পুনর্বাসন ক্ষেন্দ্রে বা যেখানে সম্ভব সেলটারে স্থান দিতে হবে। ধর্মীয় উপাসনার স্থানে সামাজিক দূরত্ব অব্যাহত রাখতে হবে।
[৪] মধ্য ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত আগামী ৬ সপ্তাহের জন্য ব্রিটেনে এই লকডাউন অব্যাহত থাকবে। গত মার্চে লকডাউনে যে ৫টি বিশেষ কারণে মানুষ বের হতে পারত এবারো সে সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে ব্রিটেনের জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা খাত (এনএইচএস) বড় রকম চাপে পড়েছে।
[৫] দেশটির সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জেরেমি হান্ট অবিলম্বে দেশজুড়ে লকডাউন দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেছেন সব স্কুল-কলেজ এমনকি সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া উচিত। মিউট্যান্ট কোভিড ‘নিয়ন্ত্রণের বাইরে’ চলে যাবার ফলে ‘ন্যাশনাল লকডাউন’ ঘোষণার দাবি করছেন ব্রিটেনের বিরোধী লেবার পার্টির নেতা স্যার কেয়ার স্টারমার।
[৬] ব্রিটেনের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ম্যাট হ্যানকক স্বীকার করেছেন, করোনা ভাইরাসের মিউট্যান্ট ভার্সন মোকাবেলায় বিভিন্ন পর্যায়ের বিধিনিষেধ যথেষ্ট শক্তিশালী ছিল না। টিয়ার-৪ এর সমস্ত বিধি মেনে চলতে জনগণকে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু যথাযথ ভাবে তা না মানার কারণে রোগের প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :