বিনোদন ডেস্ক: অভিনয় করতে গিয়ে কবেই প্রেমে জড়িয়েছেন তারা টের পাননি। এক সময় বুঝতে পেরেছেন একসঙ্গে না থাকলেই নয়। বিয়েও হয়েছে ঠিকঠাক, কিন্তু সংসার করতে গিয়ে যত গন্ডগোল। পরে ছাড়াছাড়ি। হলিউডে এমন জুটি কম নয়, শোনা যাক হাই প্রোফাইল ছয় সাবেক জুটির কথা।
২০০৬ সালে ‘স্টেপ আপ’ ছবির সূত্রে প্রেমে পড়েন চ্যানিং টাটুম ও জেনা দেওয়ান। তিন বছর পর ২০০৯ সালে ম্যালিবুর এক চার্চে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু ৯ বছর পর ২০১৮ সালের এপ্রিলে তারা আলাদা থাকার ঘোষণা দেন, আনুষ্ঠানিক ডিভোর্স হয় পরের বছর।
টম ক্রুজ তিন-তিনজন নায়িকাকে বিয়ে করেছিলেন। দ্বিতীয় স্ত্রী নিকোল কিডম্যান ছিলেন ১৯৯০ সালের ছবি ‘ডেজ অব থান্ডার’-এর সহশিল্পী। ওই বছর ডিসেম্বরে বিয়ে করেন তারা। মনে হচ্ছিল এ জুটি কখনো ভাঙবে না। তখনই ২০০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডিভোর্সের আবেদন করেন টম।
সোনালি যুগের অভিনেত্রী এলিজাবেথ টেইলরের সঙ্গে রিচার্ড বার্টনের দেখা ‘ক্লিওপেট্রা’র সেটে। তারা দুই-দুবার বিয়ে করেন, ১৯৬৪ ও ১৯৭৫ সালে। প্রথম দফায় এক দশক সংসার টিকলেও পরেরবার মাত্র এক বছর। রিচার্ড বিয়ে করেছিলেন পাঁচবার, আর টেইলর মোট আটবার!
যে দুটি নাম ছাড়া এমন তালিকা অসম্পূর্ণ তারা হলেন অ্যাঞ্জেলিনা জোলি ও ব্র্যাড পিট। ২০০৫ সালে ‘মিস্টার অ্যান্ড মিসেস স্মিথ’ ছবির সেটে পরিচয় ও প্রেম। এর পর বিখ্যাত অভিনেত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনকে ডিভোর্স দিয়ে জোলির সঙ্গে থাকা শুরু করেন পিট। এর ৯ বছর পর ২০১৪ সালে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু দুই বছরের মাথায় জোলি ডিভোর্সের আবেদন করেন, আনুষ্ঠানিক ছাড়াছাড়ি হয় ২০১৯ সালে।
বেন অ্যাফ্লেক ও জেনিফার গার্নারের পরিচয় ২০০১ সালের ‘পার্ল হারবার’ ছবির সেটে। ২০০৩ সালে ‘ডেয়ারডেভিল’ করতে গিয়ে প্রেম। ২০০৫ সালে তারা বিয়ে করেন, ২০১৭ সালে দুজনে ডিভোর্সের আবেদন করেন, তা কার্যকর হয় পরের বছর।
মিলি সাইরাস ও লিয়াম হেমসওয়র্থের প্রেমের গল্প এক দশকের ও উত্থান-পতনের। ২০০৯ সালে ‘দ্য লাস্ট সং’ ছবির শুটিংকালে তাদের প্রেমের শুরু। ভাঙা-গড়ার পর ২০১৮ সালে তার বিয়ে করেন। কিন্তু পরের বছরে ডিভোর্সের ঘোষণায় সমাপ্ত হয় সম্পর্ক।
আপনার মতামত লিখুন :