শিরোনাম
◈ হাসিনা-পরবর্তী বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিভক্তি প্রকট ◈ দুই দানব ব্ল্যাক হোলের খোঁজ পেল বিজ্ঞানীরা, কী ঘটছে মহাবিশ্বে? (ভিডিও) ◈ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ২য় উচ্চতর গ্রেডে আইনি ছাড় ◈ বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা সুবিধা চালু করেছে মালয়েশিয়া ◈ শান্তির হ্যাটট্রিক, ভুটানকে সহ‌জেই হারা‌লো বাংলাদেশের মে‌য়েরা ◈ মেট্রো স্টেশনে বসছে এটিএম ও সিআরএম বুথ ◈ ১৬ই জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ◈ রহস্যময় নাকামোতো এখন বিশ্বের ১২তম ধনী, বিটকয়েন সম্পদ ১২৮ বিলিয়ন ডলার ◈ শাহবাগ মোড় অবরোধ করলো স্বেচ্ছাসেবক দল ◈ বিএসবির খায়রুল বাশারকে আদালত প্রাঙ্গণে ডিম নিক্ষেপ, কিল-ঘুষি

প্রকাশিত : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:৪৫ সকাল
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:৪৫ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কামরুল হাসান মামুন : ধনে উন্নয়ন দিয়ে কী হবে যদি মনে উন্নয়ন না ঘটে!

কামরুল হাসান মামুন : ধনে উন্নয়ন দিয়ে কি হবে যদি মনে উন্নয়ন না ঘটে! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পরিচয়ে যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষায় ডিগ্রি নিয়েছেন এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী। আর এই জালিয়াতির কাজে সহায়তা করেন ওই বিভাগের অধ্যাপক শাহীন ইসলাম। উল্লেখ্য ওই শিক্ষার্থী মোস্তাক আহমেদ ইমরান অধ্যাপক শাহীন ইসলামের ব্যক্তিগত প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা। আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হলো এই মোস্তাক আহমেদ ইমরানকে নাকি এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে।

সকালবেলা উঠেই এরকম সংবাদ দেশ রূপান্তর পত্রিকায় পড়ে মনটা খুব খারাপ হয়েছে। মানুষ তৈরির কারখানার যদি এই অবস্থা হয় তাহলে দেশ কেন চোর, বাটপার, জালিয়াত, প্রতারক, দালাল, ড্রাগ ব্যবসায়ী, ড্রাগ এডিক্ট দিয়ে সয়লাব হবে না? এর একটি সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া উচিত এবং যথাযত তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের যথাযত শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত। আর সংবাদটি যদি মিথ্যে হয় তাহলে এর পেছনে যারা তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি কামনা করছি।

সঠিক শিক্ষার অভাবে বাংলাদেশের জনসংখ্যা বাংলাদেশের জন্য একটি বার্ডেন হয়ে গেছে। ছোট একটি ভূখণ্ডে এতো কুশিক্ষিত মানুষ ধারণ করতে পারছে না। এর ফলে মানুষের মধ্যে যেকোনো ভাবেই বেঁচে থাকার instinct তীব্র হচ্ছে। যার জন্যই চারপাশে এতো বেকার,এতো frustrated মানুষ, এতো ড্রাগ এডিক্ট ও ড্রাগ ব্যবসায়ী দেখছি। যেকোনো ভাবেই বেঁচে থাকার instinct বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দেশে চোর, প্রতারক, পাচারকারী,দালাল ইত্যাদির সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। এসব বাড়ার কারণে মানুষের জীবনের মান নিম্নগামী হচ্ছে। তাই সত্যিকারের শিক্ষায় বিনিয়োগই এই দেশকে উন্নত করার একমাত্র চাবিকাঠি। মহাকাশে স্যাটেলাইট বা কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু-১’পাঠাতে বাংলাদেশের খরচ হয়েছে ৩,২৪৩ কোটি টাকা। এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪ বছরের বাজেট বরাদ্দের চেয়েও বেশি। আমার মতে এই টাকা দিয়ে বা প্রয়োজনে এর সঙ্গে আরও অর্থ যোগ করে বিশ্বমানের একটি বিশ^বিদ্যালয় বা গবেষণা ইনস্টিটিউট বা ভারতের আইআইটি মানের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললে অনেক অনেক বেশি লাভ হতো। আমাদের প্রায়োরিটি হওয়া উচিত শিক্ষায় মানের উন্নতি করা। এটি করলে দেশের অনেক সমস্যা এমনি এমনিতেই সমাধান হয়ে যেত। দেশে উন্নত মানের মানুষ তৈরি হলে পরে দেশ স্বয়ংক্রিয়ভাবেই উন্নতি হবে এবং সেটা হতো টেকসই উন্নতি। সত্যিকারের একটি উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ইমপ্যাক্টই আমরা আজ পর্যন্ত ঠাহর করতে পারিনি। এই নাপারাও আমাদের অশিক্ষার স্বাক্ষর। আমরা মনে করি উপগ্রহ পাঠানো, ব্রিজ বানানো, বহুতল ভবন বানানোই উন্নতি। আমরা এখনো বুঝি না আগে মানুষ উন্নত করলে তার অটোমেটিক consequence হতো ওসবের উন্নতি। ফেসবুক থেকে

 

 

 

 

 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়