শিরোনাম
◈ চট্টগ্রাম বন্দরে সাইফ পাওয়ার টেকের যুগের অবসান, এনসিটির দায়িত্বে নৌবাহিনী ◈ ১ ট্রিলিয়ন ডলারের খনিজের খেলায় তালেবান, পেছনে চীন-রাশিয়া-ইরান-ভারত! ◈ পাকিস্তানকে ঠেকাতে গিয়ে ভারতে বন্যা, তোপের মুখে কঙ্গনা (ভিডিও) ◈ ৫ আগস্ট লক্ষ্য ছিল গণভবন, এবার জাতীয় সংসদ: নাহিদ ইসলাম (ভিডিও) ◈ গাজীপুরে মহানগর বিএনপির ৪ নেতা বহিষ্কার ◈ দেশের জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষায় জনগণ ঐক্যবদ্ধ : মির্জা ফখরুল ◈ রেস্ট হাউজে ‘নারীসহ’ ওসি, আটক করে ‘চাঁদা দাবি’ ছাত্রদল নেতার, সিসিটিভির ফুটেজ ফাঁস ◈ আর একটি হত্যাকাণ্ড ঘটলে সীমান্ত অভিমুখে লংমার্চ: হুঁশিয়ারি নাহিদ ইসলামের ◈ ধামরাইয়ে ঋণ দেওয়ার কথা বলে গৃহবধুকে ধর্ষণ, আসামী গ্রেফতার ◈ গাজীপুরে চাঁদাবাজির মামলায় গ্রেফতার বিএনপি নেতা স্বপন

প্রকাশিত : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:২২ সকাল
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৮:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

তুরস্ক সাংবাদিক ডুন্ডারকে ২৭ বছর জেল দিল কেন?

ডিডাব্লিউ: তুরস্কে বিরোধী দলের সংবাদপত্রের প্রধান সম্পাদকের ২৭ বছর জেল হলো। অভিযোগ, তিনি সন্ত্রাসবাদ ও চরবৃত্তিতে যুক্ত।

সাংবাদিকের নাম ক্যান ডুন্ডার। ২০১৬ সালে তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর তিনি জার্মানিতে পালিয়ে যান। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চরবৃত্তির দায়ে তাকে ১৮ বছর নয় মাসের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে তুরস্কের আদালত। আর সশস্ত্র সন্ত্রাসবাদী কাজকে সমর্থনের দায়ে তার আরো আট বছর নয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ হয়েছে।

তবে ডুন্ডার এখন জার্মানিতে। তার অনুপস্থিতিতেই তুরস্কের আদালত এই শাস্তি দিয়েছে। ডুন্ডার জানিয়েছেন, তিনি এই রায়ে একেবারেই অবাক হননি। তিনি সত্যি কথাগুলো রিপোর্টে লিখেছিলেন। তাকে এই কড়া শাস্তি দেয়ার উদ্দেশ্য হলো, তুরস্কে যাতে আর কোনো সাংবাদিক এভাবে স্পর্শকাতর বিষয়ে কথা না বলে, তার ব্যবস্থা করা।

তার দাবি, ''তুরস্কের আদালত পুরোপুরি এরদোগান সরকারের অধীনে। ফলে অন্য কোনো আদালতে আবেদন জানিয়েও কোনো লাভ নেই। কিন্তু আমরা ইউরোপীয়ান কোর্ট অফ হিউম্যান রাইটসে যাব। তারা নিশ্চয়ই বলবে, আমি সাংবাদিকতা করেছি, সন্ত্রাসবাদ নয়।''

কে এই ক্যান ডুন্ডার
২০১৬ সালে ক্যান ডুন্ডার জার্মানিতে পালিয়ে আসেন। তার আগে ২০১৫ সালে তিনি রিপোর্ট করেছিলেন, সিরিয়ারবিদ্রোহীদের কাছে জাহাজভর্তি অস্ত্র পাঠিয়েছে তুরস্ক। তারপরেই তাকে চরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। তিনিও তুরস্ক ছেড়ে পালান।

এর্দোয়ান তাকে হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, এই চরবৃত্তির জন্য তাকে বিশাল মূল্য দিতে হবে। তাকে তুরস্কে ফেরার জন্য ১৫ দিন সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি ফিরতে অস্বীকার করেন। তারপর কোর্ট তাকে পলাতক চিহ্নিত করে তার সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেয়। তিনটি শহরে তার চারটি বাড়ি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়। ২০১৬-র সেপ্টেম্বরে তার স্ত্রীর পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়।

এই রায়ের পর বিবৃতি দিয়ে ডুন্ডার জানিয়েছেন, ''এটা বেআইনি ও নিষ্ঠুর সিদ্ধান্ত। এই বিচারের ফলে আমার খবর সারা বিশ্বে ছড়িয়ে গেছে।''

রায়ের প্রতিক্রিয়া
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, এই রায় হলো তুরস্কে স্বাধীন সাংবাদিকতার উপর ভয়ঙ্কর আঘাত। সাংবাদিকতা পাপ নয়, বরং তা সমাজসেবার অভিন্ন অঙ্গ, বিশেষ করে সাংবাদিকরা যখন ক্ষমতাসীন মানুষদের চুলচেরা বিচার করেন।

জার্মান জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, এটা বর্বরোচিত সিদ্ধান্ত। ফ্রি কান্ট্রি হলে ডুন্ডার বরং এর জন্য পুরস্কার পেতেন। জার্মান সরকার যেন তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং তাকে যেন অপহরণ করে তুরস্কে নিয়ে যাওয়া না হয়, তা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছে জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন।

গত অক্টোবরেই ইইউ তুরস্ককে সাবধান করে বলেছিল, সেখানে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ শেষ হয়ে যাচ্ছে।

জার্মানির মানুষ ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে ডুন্ডার বলেছেন, তারা প্রথম থেকেই তার পাশে থেকেছেন। জার্মান সরকারের উচিত, শুধু এরদোগান সরকারের সঙ্গে কথা না বলা, তুরস্কে প্রচুর মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছেন, তাদের পাশে দাঁড়ানো। গ্রন্থনা: ফরহাদ বিন নূর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়