শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:২৯ সকাল
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর, ২০২০, ০৭:২৯ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিপ্লব পাল: মমতার সাহস-ক্ষমতা আছে কিন্তু সেকেন্ড ইন কমান্ড লাইনে ভীষণভাবে ব্যর্থ

বিপ্লব পাল: তৃণমূল বা সিপিএম থেকে যারা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তারা কেউই খুব সুবিধা করতে পারেননি। মুকুল রায় এখনো বিজেপিতে বাইরের লোক। তৃণমূলে থাকার সময় তার একটা পজিশন, গুরুত্ব ছিলো। বর্তমানে আরএসএস লবির কাছে তিনি কিছুই না, বাইরের ভারাটে রাজনীতিবিদ। আজ আছেন কাল চলে যাবেন। শুভেন্দুর ও একই হাল হবে। কারণ বাকী যারা এসেছে, তাদের হাল হকিকত বলে দিচ্ছে, কি হতে চলেছে। কিন্তু এর পরেও মমতা ব্যানার্জি মুকুল রায় বা শুভেন্দুকে হারিয়ে ভুল করেছেন। তৃণমূলের রক্তক্ষরণ অব্যহত। তার জীবনের বৃহত্তম ভুল হচ্ছে, নিজের ভাইপোকে রাজনীতিতে আনা। ওইটা না করলে, তার রাজনৈতিক লাভ হত অনেক বেশি। তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতি করে। যা ক্যাডার ভিত্তিক না। সামন্ততান্ত্রিক, দাদা-দিদি নির্ভর। জেলা ব্লকে, দাদা-দিদিরা না উঠলে পার্টি চলবে না। কারণ এটি আদর্শভিত্তিক দল না। আদর্শ ছাড়া ক্যাডারবেস বানানো যায় না। সুতরাং দাদা দিদিদের উঠতে দেব না, সব নিজের নামে চলবে এ মডেল বেশিদিন মমতা ব্যানার্জি টানতে পারতেন না। উল্টো পিকে কে এনে আরও বিপদ বেড়েছে। মমতা ব্যানার্জি তার সেকেন্ড ইন কম্যান্ড স্ট্রাকচার তৈরিতে ব্যর্থ। আরও অনেক কিছুতেই তিনি ব্যর্থ কিন্তু তাও ক্ষমতায় আছেন, কারণ মুসলিম ভোটের ৯২শতাংশ টানতে সমর্থ হয়েছেন। তাতে লাভ হয়েছে বিজেপির। কারণ মমতা ব্যানার্জি ইসলামিক মৌলবাদ তোষনে বাধ্য হয়েছেন। সেই সুযোগে হিন্দুভোট একক্কাটা করেছে বিজেপি। বাংলার মুসলমানদের খুব খারাপ অবস্থা। তারা কাদের ভোট দেবেন? তৃণমূল বিজেপি বা কংগ্রেসের যেকোনো এমএলএ যেকোনোদিন বিজেপিতে যোগ দিতে পারে। কারণ টাকার থলি। বাঙালি এমনিতেই গরিব। ব্যাঙ্গালোরে যেখানে বিজেপি কং এমএলএ কিনতে ১৫, ২০ কোটি খরচ করে, এখানে শুনেছি ৩০, ৪০ লাখ দিলেই এমএলএ‘রা বিক্রি হচ্ছে। তার মধ্যে সিপিএম কং,...তৃনো সব্বাই আছে।

মুকুল রায়, শুভেন্দু, অধীর , মান্নান, তাদের কেউ মমতা ব্যানার্জি হয়ে উঠতে পারবেন না। কারণ সে সাহস নেই। নইলে মুকুল বা শুভেন্দু বিজেপিতে না এসে বাংলা কংগ্রেস বানাতেন। মুকুল বা শুভেন্দুর যে নিজস্ব বেস সেটাতো বিজেপির না। তারা যদি নীতিগতভাবে পাল্টা বাংলা কংগ্রেস দাঁড় করাতেন, লোকে বুঝত তারা নীতির রাজনীতি করেন। সেটা না করে বিজেপিতে যোগ দেওয়া মানে আদানী আম্বানীর টাকায় বাকী ব্যক্তিগত জীবন সুরক্ষিত করা। সেটা তারা করতেই পারেন। কিন্তু তাতে রাজনীতিবিদ হিসাবে উঠতে পারবেন না। কারণ বিজেপিতে সেই সুযোগটাই নেই। শুভেন্দু এবং মুকুলের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য মমতা ব্যানার্জি নিজেই দায়ী। এতে তার নিজের, শুভেন্দু এবং মুকুল সবার লোকসান। লাভ উত্তর ভারতের হিন্দি বেল্টের। লাভ আদানী আম্বানীর। দেখা যাক বিজেপি আসলে আদানি আম্বানীর পুঁজি পশ্চিম বঙ্গে কতো আসে। আম্বানী অবশ্য মমতার আমলেও প্রচুর ইনভেস্ট করছেন। ইতিহাস যেটুকু পড়েছি তাতে বুঝেছি পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠ নেতা দুজন চেঙ্গিস খান এবং আলেক্সান্ডার দ্যা গ্রেট। সফল নেতা হতে একাধারে অনেক গুন লাগে। তার অন্যতম হচ্ছে সেকেন্ড ইন কম্যান্ড শক্তিশালী এবং লয়াল রাখা। এবং সেটা করতে, তারা দুজনেই সেকেন্ড ইন কম্যান্ডা লাইনকে গুরুত্ব দিয়ে ওঠাতেন। নার্চার করতেন। মমতা ব্যানার্জি সম্পূর্ণ উল্টো কাজ করেছেন এবং যার জন্য ধ্বংসের সামনে। মমতা ব্যানার্জির সাহস আছে, ক্ষমতা আছে। কিন্তু সেকেন্ড ইন কমান্ড লাইনে ভীষণভাবে ব্যর্থ। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়