আসিফুজ্জামান পৃথিল: [২] তাইওয়ান বলছে এই সাবমেরিনগুলো হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির। মোট ৮টি সাবমেরিন দেশেই বানাবে তাইপে। দক্ষিণাঞ্চলীয় কাওহসিউয়াংয়ে গত মাসে প্রথম সাবমেরিনটি তৈরি শুরু হয়েছে। ২০২৫ সালে প্রথমটির সি ট্রায়ালের আশা করা হচ্ছে। এই ঘটনাকে তাইওয়ানের জন্য ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন। সিএনএন
[৩] চীন তাইওয়ানকে নিজের অংশ বলে দাবি করে। আর তাইওয়ান মনে করেন তারাই প্রকৃত চীন। তাদের মূল ভূখণ্ড দখল করে রেখেছে কমিউনিস্ট পার্টি। ৭০ বছর ধরে চলছে এই দ্বন্দ্ব। চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং শপথ করেছেন, বেইজিং কখনই এই দ্বীপরাষ্ট্রটিকে স্বাধীন হতে দেবে না। প্রয়োজনে বলপ্রয়োগেও আপত্তি নেই তাদের। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট
[৪] গত কয়েকমাস ধরে দ্বীপটিতে সামরিক চাপ বাড়াচ্ছে চীন। তাইওয়ানের এয়ার ডিফেন্স আইডেন্টিফিকেশন জোনে পাঠানো হয়েছিলো যুদ্ধবিমান। পাশের দ্বীপে চালানো হয়েছে সামরিক মহড়া। এই দুই ঘটনাকে হুমকি হিসেবে নিয়েছে তাইপে। তবে দ্বীপটিতে আগ্রাসন চালাতে হবে তাইওয়ান প্রণালী পার হতে হবে চীনা সামরিক বাহিনীকে। এ কারণেই এই সাবমেরিন বাহিনী গড়ে তুলছে তাইওয়ান। ফক্স নিউজ
[৫] পলিটিকো জানায়, তাইওয়ানের ৪টি সাবমেরিন আছে। সবগুলোই ২য় বিশ্বযুদ্ধ আমলের। ৭০ বছরের বেশি সময় ধরে দেশটির নৌবাহিনীকে সেবা দিয়ে চলেছে এই ৪ জলযন্ত্র। তাইওয়ান জানিয়েছে, নতুন সাবমেরিনগুলো স্টেলথ প্লাটফর্ম হিসেবে ব্যবহার হবে। এই সাবমেরিনগুলো পানির উপরিভাগে চলবে ডিজেল ইঞ্জিনে। তবে ডুবন্ত অবস্থায় লিথিয়াম ব্যাটারী চালিত শব্দহীন ইলেক্ট্রিক মোটর এগুলোকে শক্তি যোগান দেবে।