কামাল হোসেন: [২] রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে আলমাস খাঁ (৪০) নামের এক ব্যক্তির বস্তাবন্দি গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে গোয়ালন্দ ঘাট থানা পুলিশ। সে উপজেলার উজানচর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সাহাজুদ্দিন মাতব্বর পাড়ার মৃত বাবু খানের ছেলে। আলমাস ৪ কন্যা সন্তানের জনক।
[৩] রোববার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেলে ওই গ্রামের সাত্তার মোল্লার পরিত্যক্ত পুকুর পাড় হতে লাশটি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আলমাস খানের স্ত্রী রাহেলা বেগমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে একই গ্রামের সেকেন শেখের ছেলে সেলিম শেখ (৩০), মৃত রহিম খানের ছেলে আজিজুল খান (৪০) এবং আজিজুল খানের স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ আটক করেছে।
[৪] স্থানীয়রা জানান, আলমাস দীর্ঘদিন ধরে বেকারীর বিস্কুট-পাউরুটির ব্যবসা করতেন। কিন্তু প্রায় ১ বছর ধরে সে কাজকর্ম বাদ দিয়ে নিয়মিত মাদক সেবন করতো। সম্ভবত সে একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্রের সাথে জড়িয়ে গিয়েছিল। মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে শনিবার দিনগত রাতে তাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে।
[৫] স্থানীয় সাত্তার মোল্লা জানান, দুপুরে বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে একটা বস্তা পড়ে থাকতে দেখি, বস্তাটি মরা মুরগী বোঝাই মনে করে পুকুর পাড়ে পুতে ফেলার জন্য গর্ত করি কিন্তু বস্তা গর্তে ফেলার জন্য টান দিলে হাত পা বেড়িয়ে আসলে ও রক্ত দেখলে স্থানীয় ইউপি সদস্য চুন্নু মীর মালতকে ফোন দেই। তিনি ঘটনাস্থলে এসে থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করে।
[৬] এ ব্যাপারে গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, আলমাস খানকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে এর বিশেষ কোনও কারণ জানা না গেলেও সে মাদকাসক্ত ছিল বলে জানা গেছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩জনকে আটক করা হয়েছে। রাজবাড়ীর সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) শরিফুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।