শিরোনাম
◈ আমদানি-রপ্তানিতে এনবিআরের নতুন নিয়ম: বাধ্যতামূলক অনলাইন সিএলপি দাখিল ◈ জুলাই স্মরণে শহীদ মিনারে ছাত্রদলের মোমবাতি প্রজ্বলন (ভিডিও) ◈ জুলাই বিদ্রোহ: কোটা সংস্কার থেকে গণঅভ্যুত্থান ◈ ভারতের বাংলাদেশ সফর নিয়ে যা বললেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল ◈ ৪৪তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ, ক্যাডার পদে মনোনয়ন পেলেন ১৬৯০ জন ◈ ১৮ জুলাই নতুন দিবস ঘোষণা ◈ ডিসি-এসপি কমিটি ও ইভিএম বাদ, ভোটকেন্দ্র স্থাপনে নতুন নীতিমালা জারি করলো ইসি ◈ বাংলাদেশে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স: কীভাবে পাবেন, কী কী শর্ত মানতে হবে? ◈ এবার থাইল্যান্ড থেকে ভারতগামী বিমানে ১৬ টি সাপ, এরপর যা ঘটল ◈ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে এবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বার্তা

প্রকাশিত : ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ০১:০৫ রাত
আপডেট : ১০ ডিসেম্বর, ২০২০, ০১:০৫ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ধানের ভরা মৌসুমে ভারত থেকে চাল আমদানি সরকারের

ডেস্ক রিপোর্ট : আমনের ভরা মৌসুমে বাজার নিয়ন্ত্রণের নামে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানি করছে সরকার। ১৭১ কোটি ৪৪ লাখ টাকায় ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এই চাল কেনা হবে। সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির বৈঠকে চাল আমদানির বিষয়টি অনুমোদন হয়। দুর্যোগকালীন চাল আমদানি না করে ভরা মৌসুমে সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কৃষি অর্থনীতিবিদ ও কৃষক নেতারা। সময টিভি

দেশে কয়েক দফা বন্যার পরও কৃষকদের কল্যাণে আমনের বাম্পার ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ। ইতোমধ্যে ৭০ শতাংশ জমির ধান কাটাও শেষ হয়েছে। বাজারে আসা প্রতি মণ নতুন আমন ধান বিক্রি হচ্ছে এক হাজার টাকার উপরে। এতে বন্যার ধাক্কা কাটিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখছেন কৃষকরা।

এমন অবস্থায় হঠাৎ চাল আমদানির ঘোষণা দিলো সরকার। ভারতীয় একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ৫০ হাজার টন চাল কেনা হবে।

মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবু সালেহ মোস্তফা কামাল বলেন, '৫০ হাজার মেট্রিক টন বাসমতি চাল। আর টাকায় রূপান্তর করলে দাঁড়াবে ১৭১ কোটি ৪৪ লাখ ৪৪ হাজার টাকা। প্রতি কেজি ৩৪.২৮ টাকা। এটা সাপ্লাই দিচ্ছে মুম্বাই।'

সরকারের এমন সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বাজার নিয়ন্ত্রণে মৌসুমের অন্তত দু'মাস আগে সরকারের চাল আমদানি করা উচিত ছিলো।

কৃষি অর্থনীতিবিদ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, 'সেপ্টেম্বরে আমরা দেখেছি চালের দাম বেড়ে গেলো। আলটিমেটলি আমাদের আমদানি করতে হচ্ছে। ওই সময়টাতে যদি এই সিদ্ধান্ত নেওয়া যেত তাহলে কৃষকরা দাম পড়ে যাওয়া হাত থেকে রক্ষা পেত। সরকারের এমন সিদ্ধান্তকে আত্মঘাতী বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক নেতারা।

রংপুর জেলা কৃষক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক পলাশ কান্তি নাগ বলেন, 'মিল মালিকদের গোডাউনে পর্যাপ্ত চালের মজুদ থাকার পরও তারা কিন্তু বাজারে চাল সরবরাহ করছে না। আমরা মনি করি যে, এই ক্ষেত্রে আসলে সরকারের মিল মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ।

রংপুর জেলা জাতীয় কৃষক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম হক্কানি বলেন, 'আমদানিকে এই মুহূর্তে আমরা নিরুৎসাহিত করতেছি এবং কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনার পরামর্শ দিচ্ছি।'

বর্তমানে দেশে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি সরু চাল ৫৫-৫৭ টাকা; মাঝারি চাল ৪৮-৪৯ টাকা এবং মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৪-৪৬ টাকায়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়