মহসীন কবির: [২] মঙ্গলবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে ঘুমের মধ্যে স্ট্রোক করে তিনি মারা যান।(ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্নইলাহি রাজিউন)।
[৩] তিনি খ্যাতনামা কবি হুমায়ূন কবিরের ছেলে। আদিত্য আজকের কাগজ ও ভোরের কাগজে সাংবাদিকতাও করেছেন । ১৫ বছর বিজ্ঞাপন সংস্থায় কাজ করছেন। সর্বশেষ তিনি বিজ্ঞাপনী সংস্থা এশিয়াটিকে অ্যাসোসিয়েট ভাইস-প্রেসিডেন্ট হিসেবে যুক্ত ছিলেন।
[৪] ইতিমধ্যে আদিত্যের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে অনেকেই বার্তা প্রকাশ করেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। সিনিয়র সাংবাদিক জ.ই. মামুন লেখেন- আদিত্য কবির আমার বন্ধু, আমার সহকর্মী, আমার দুঃসময়ের সঙ্গী, কোনো কোনো ক্ষেত্রে আমার গুরুও। ওর কাছ থেকে কতকিছু শিখেছি। আমাদের প্রজন্মের সবচেয়ে মেধাবী যে কজন ছেলে মেয়ে আমি চিনি, আদিত্য তাদের অন্যতম। তার মতো ভালো বাংলা এবং ইংরেজি লিখতেও দেখেছি কম মানুষকে। কমিউনিকেশন স্কিল ছিলো অসাধারণ।
[৫] নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেইসবুকে লেখেন, “আমাদের বন্ধুদের মধ্যে অনেক বিষয়েই আগানো ছিল আদিত্য, যারে লোকে আদিত্য কবির নামে জানত! চলে যাওয়ার ক্ষেত্রেও দেখা গেল ও-ই আগানো!”
[৬] শিক্ষক ও লেখক আজফার হোসেন লেখেন, “এই মাত্র খবর পেলাম, আমার এক সময়ের খুব কাছের মানুষ ও আমার প্রিয় মানুষ আদিত্য কবির--অসাধারণ মেধাবী কবি ও লেখক আদিত্য কবির--অল্প বয়সেই চলে গেল! ডেভাসটেটিং! গুছিয়ে যে কিছু বলব, সেটা সম্ভব হচ্ছে না এখন!”
[৭] সাংবাদিক তুষার আবদুল্লাহ লেখেন-- আদিত্য দা( আদিত্য কবির ) এটা কি হলো? সেই ভোরের কাগজের কাল । সন্জীব দা, মুনীর রানা আপনি আমি আমাদের কতো গল্প। আপনার স্পোটর্স রিপোটিং । একসঙ্গে দুজনের মেলা পাতায় লেখা । প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর ক্রোড়পত্র দুজনের ভরাট করে দেয়ার কথা। আপনি উধাও। রাতভর সন্জীব দা আর আমি সামাল দিলাম । আপনি উধাও হতেন, আর আমি আপনাকে খুঁজে বের করতাম । জোর করে নিয়ে এসেছিলাম সময় সংলাপে । কি তুমুল আড্ডা । ঈশ্বরের নাম বিজ্ঞাপন লেখার সময় ২০১৮র শেষ ভাগ পর্যন্ত নিয়মিত কতো কথা টেলিফোনে । আলী যাকের ভাইর সঙ্গে সময় সম্পাদকীয় করতে গিয়ে এশিয়াটিকের নিচে দেখা । সংক্ষিপ্ত আড্ডা। বলেছিলেন নীতি নৈতিতকতা ও জ্ঞান শূণ্য সমাজের কথা। গণমাধ্যমের মুর্খ্যতা এবং নষ্ট হয়ে যাবার কথা । সন্জীব দা, র মতো গণমাধ্যম আপনাকেও মূল্যায়ণ করতে পারেনি । আমরা যারা জানি আপনাকে, তারাতো নিশ্চিত করেই জানি গণমাধ্যমে আপনার মতো দ্বিতীয় প্রতিভা ...। না , নেই। অভিমান করে ঘুমের মধ্যে একদম যেন টিলোএক্সপ্রেস খেলার মতো চলে গেলেন। ভালই করলেন হয়তো ...নষ্টপুরে কেন জীবনের অপচয় !
আপনার মতামত লিখুন :